ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে ‘একটি উদ্যোগ’ এর ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচি শুরু

চাঁদপুরে ‘একটি উদ্যোগ’ এর ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচি শুরু

নানা কারণে শহরের লোকজনের কায়িক শ্রম খুবই কম করা হয়। অনেকেই ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে শহরে হাঁটার জন্য নিরাপদ স্থানের অভাব। সড়কগুলোতে হাঁটার পরিবেশ নেই। যে কারণে চাঁদপুর শহরের লোকজন নিরাপদ হাঁটার স্থান খুঁজছিল। সে প্রত্যাশা পূরণে শুরু হয়েছে ‘একটি উদ্যোগ’ এর ‘চলেন হাটি’ কর্মসূচি দিয়ে।

গতকাল শনিবার ভোর ৬টায় এ কর্মসূচি শুরু হয় জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ‘চাঁদপুর সরকারি কলেজ’ ক্যাম্পাসে। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। খুবই মনোরম ও প্রাকৃতিক পরিবেশে এই কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন সাংবাদিক আলম পলাশ। এই কর্মসূচিতে হাঁটতে আসা মুক্তা রহমান বলেন, আমাদের হাঁটার জন্য সড়ক সমস্যা। সমান্তরাল সড়ক নেই। অনেক সময় হাঁটার সঙ্গী থাকে না। সুন্দর জায়গা পাওয়া যায় না। যখন কলেজের এই সুন্দর পরিবেশ করার কাজ চলছিল তখনই আশা করছি এখানে আমাদের জন্য হাঁটার অনুমতি থাকলে ভালো হতো। অবশেষে আজ থেকে আমাদের নিরাপদ হাঁটা শুরু হলো। আফরোজা ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, আমি নিয়মিত হাঁটি। তবে আমার বাসায়। কারণ রাস্তায় অনেক গাড়ি, রিকশা, অটো।

নিরাপত্তার অভাব। ‘চলেন হাঁটি’ এই উদ্যোগটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। যিনি উদ্যোগ নিয়েছে তাকে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আসুন আমরা সবাই এই ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচিতে যোগ দেই। হাঁটতে আসা চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি নিয়মিত হাঁটি। শারিরীক সুস্থতার জন্য প্রত্যেকটা মানুষকেই ব্যায়াম করা এবং হাঁটা খুবই প্রয়োজন। চাঁদপুর সরকারি কলেজে আজকে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে হাঁটার সুবিধা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই চমৎকার। ‘একটি উদ্যোগ’ এর ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচির বিষয়ে আলম পলাশ বলেন, শহরের সড়কগুলোতে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। যে কারণে আমি চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে অনুমতি নিয়েছি। যে কোনো কাজে কেউ না কেউ উদ্যোগ নিতে হয়। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের দায় থাকে। তেমনি আমি নিজ দায়বদ্ধতা থেকে এই ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছি। মানুষ যেন সব সময় এখানে এসে হাঁটতে পারেন সেই প্রত্যাশা করছি। চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, আমাদের অনেক দিনের প্রত্যাশা ছিলো নিরাপদে হাঁটার একটি পরিবেশ।

বিশেষ করে যারা সকালে হাঁটেন তাদের জন্য শহরে নিরাপদ পরিবেশ তেমন হয়ে ওঠেনি। নানা কারণে আমাদের হাঁটা দরকার। আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসের হাঁটার রাস্তা সংস্কার হয়েছে। আজ থেকে সবাই হাঁটা শুরু করেছেন। আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। আমন্ত্রণ জানাব সবাই যেন এখানে হাঁটতে আসনে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত