চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের আখনেরহাট এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব ও মেঘনা নদীর ঢেউয়ের কারণে স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও আখনের হাট জামে মসজিদের পেছনের অংশ ভেঙে পড়েছে। একই সাথে নদী এলাকায় বিলীন হয়ে গেছে গণকবর। বর্তমানে মসজিদ ও এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে ওই এলাকায় গিয়ে মসজিদ, স্থানীয় লোকজনের চলাচলের একমাত্র সড়ক ও গণকবর ভেঙে পড়ার এই দৃশ্য দেখা যায়। মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আবদুল্লাহ জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবের কারণে স্থানীয়ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই সাথে আমাদের মসজিদের পশ্চিম অংশে মেঘনা নদীর পাড়া এলাকায় বহু অংশ ভেঙে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে যে কোনো সময় মসজিদটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আখনের হাট জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নেছার আখন্দ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মসজিদের সামনের অংশ ভেঙে পড়েছে। একই সাথে মসজিদের উত্তর পাশ-সংলগ্ন আখনের হাটের সাথে সংযুক্ত সড়কটিতে কমপক্ষে এলাকার ৫ হাজার লোকের যাতায়াত। প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ নানা পেশের লোকজন কর্মের কারণে এখান দিয়ে যাতায়াত করে। এলাকার এই ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটি এই মুহূর্তে বালিভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ না করা গেলে স্থানীয় লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়বে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. আলমগীর হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙনের পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। তিনি ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে গেছেন। এই বিষয়ে বক্তব্যের চান্দ্রা ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যান এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হয় তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পরে চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ব্যক্তি মালিকানা লোকজনের ঘর ভেঙেছে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তবে আখনের হাট এলাকার সড়ক এবং মসজিদ এলাকার ভাঙনের কথা বলেননি। তবে এখন যেহেতু জানতে পেরেছি ভাঙন প্রতিরোধ ও মেরামতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।