ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জরুরি বিভাগে রোগীদের দুর্ভোগ

জরুরি বিভাগে রোগীদের দুর্ভোগ

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রোগী দেখেন আউটসোর্সিং ও সেবা খাতের অদক্ষ ছেলেমেয়েরা। আর জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার জরুরি বিভাগে না বসে, বসে থাকেন ৯ নম্বর এসি রুমে। জরুরি কোনো রোগী এলে টিকিট নিয়ে যেতে হয় সেই এসি রুমে। এতে এই এলাকার রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া জরুরি বিভাগে অন্য কোনো হাসপাতালের ও ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র নিয়ে ইনজেকশন দিতে এলে দিয়ে দেওয়া হয় না। জরুরি কোনো রোগী হাসপাতালে এলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

গতকাল শনিবার সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডা. সঙ্গীতা দোস্তাগীর কর্মরত আছেন। কিন্তু তিনি জরুরি বিভাগের রুমে উপস্থিত নেই। তিনি রয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ৯ নম্বর এসি রুমে। তিনি রেস্টে থাকার কারণে রাসেল, বাবু, রিমন রহমান, মতিউর রহমান ও মোছা. আশা এই পাঁচজন আউটসোর্সিং ও সেবা খাতের অদক্ষ ছেলেমেয়ে জরুরি বিভাগে রোগীদের সেবা প্রদান করছেন। অদক্ষ আউট সোর্সিং ও সেবা খাতের ছেলেমেয়েরা রোগীদের ইনজেকশন পুস করা, কাটা স্থানে সেলাই করাসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছেন।

কয়েকজন রোগী নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, আমরা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছি অথচ এই বিভাগে ডাক্তার নেই। আছে কয়েকজন ছেলেমেয়ে। তারা আমাদের নাম তালিকাভুক্ত করে। তারপর বলে ৯ নম্বর রুমে যান। সেখানে গিয়ে চিকিৎসাপত্র লিখে এনে ওষুধ বা ইনজেকশন আনা হলে অদক্ষ আউট সোর্সিং ও সেবা খাতের ছেলেমেয়েরা রোগীদের ইনজেকশন পুস করা, কাটা জাইগা সেলাই করে দেন। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে থাকা আউট সোর্সিংরে ছেলেমেয়েরা জানায়, এখানে ডা. সঙ্গীতা দোস্তাগীর কর্তব্যরত আছেন। তিনি ৯ নম্বর রুমে আছেন। এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হাসান শাওন জানান, ডাক্তার সংকটের কারণে উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসারগণকে আউট ডোরে বসানো হয়েছে, যার কারণে জরুরি বিভাগে এই অবস্থা। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত