নাটোরের গুরুদাসপুর চাঞ্চল্যকর মনোয়ার হত্যা মামলার মূলহাতা মো. হায়দার আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার উত্তরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো: হায়দার আলী উপজেলার কুমারখালী গ্রামের মো: আশরাফ আলীর ছেলে। র্যাব নাটোর জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার কুমারখালী এলাকার মো: আব্দুস সালামের সঙ্গে আসামি মো: হায়দার আলীর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৩ মে বিকালে বাদীর ভাগিনা মো: রেজাউল করিম কুমারখালী এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আসামিরা তার কাছে এসে গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে আসামিরা ক্ষীপ্ত হয়ে হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে বাদীর ছেলে মনোয়ার হোসেন ও ভাগিনা রেজাউল করিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মনোয়ার গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় তাকে বাঁচানোর জন্য রেজাউল এগিয়ে গেলে আসামি হায়দার তার হাতে থাকা ধারালো ডেগার দিয়ে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় আহতদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে সেখানকার কর্তৃব্যরত চিকিৎসক মনোয়ার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করে। আহত রেজাউল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ রেফার্ড করেন। আরো জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সিপিসি-২ নাটোর র্যাব-৫ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত আসামির অবস্থান শনাক্ত করে মামলার মূলহোতা মো: হায়দার আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করেন। গুরুদাসপুর থানার কর্মকর্তা ওসি মো. উজ্জল হোসেন বলেন, আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
