অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
দেশের জন্য মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। অর্থনৈতিকভাবে একটি সমুদ্রসৈকত দেশের পর্যটনশিল্পকে সমৃদ্ধ করে। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দুবিন্দু হয়ে ওঠে সমুদ্রসৈকতগুলো। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ হলেও বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত দেশের দক্ষিণে রয়েছে বেশ কয়েককটি সমুদ্রসৈকত। তেমনি একটি সমুদ্রসৈকত সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত বিভাজনকারী নদী হাড়িয়াভাঙ্গার সন্নিকটে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত।এ সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠছে নানা স্থাপনা। একটা সময় এই সমুদ্রসৈকত সবার কাছে অজানা থাকলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে পরিচিতি লাভ করছে। ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সমুদ্রসৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য খুব সহজে বিমোহিত করে এখানে আসা পর্যটকদের। সমুদ্রের গর্জনে কান পেতে প্রকৃতির সাথে যারা মিশে যেতে চান তাদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়িয়া যাওয়ার পথে চোখে পড়বে প্রকৃতির নানা রূপ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে এর অবস্থান। ভাগ্য ভালো থাকলে চলার পথে সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল ও হরিণের দেখা পেতে পারেন। সুন্দরবনের সবুজের রাজ্যে উঁকি দিবে ঝাঁকে ঝাঁকে বানর-শুকরের দলসহ নানা পশুপাখি ও বৃক্ষরাজি। এখানে একটু খোঁজ করলেই পাবেন সুন্দরবনের খাঁটি মধু যা পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যেতে পারেন। সুন্দরবন পাশে হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত এক অন্যতম পর্যটন স্থান হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে।
মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত এর সঙ্গে খুব সহজেই যোগ করতে পারেন সুন্দরবন।