দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নে ধর্ষনের ফলে এক কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রতিবেশী দাদা সম্পর্কিত ধর্ষক নুরুজ্জামান বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করতেন।
এতে কিশোরী মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে থানায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে গত শনিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। কিশোরীর মা জানান, বাড়ির পাশর্^বর্তী দাদা সম্পর্কিত কবিরাজ নুরুজ্জামান আহমেদ মেয়ের পেটের ব্যথার জন্য ওষুধ খাওয়ালে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়।
তারপর তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। এভাবে প্রায় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার ফলে মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে দুই পরিবারের মাঝে মীমাংসার জন্য আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ২-৩ দিন পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে জানালে তারা এসে স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি মামলা করার পরামর্শ দেন এবং সালিশি বৈঠকে যেতে আপত্তি জানান। তখন চেয়ারম্যান বৈঠকে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে মামলা করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনা জানতে ধর্ষক নুরুজ্জামান আহমেদকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে সে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে সব স্বীকার করে বলেন, মেয়ের মা প্রায়ই ধারদেনা করত।
বিভিন্ন রোগের জন্য আমার কাছে কবিরাজি ওষুধ খেত। এক পর্যায়ে তার মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ভুলক্রমে এ অন্যায় কাজটি হয়েছে। চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান, ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।