কীটনাশক দিয়ে চারাগাছ জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে মায়া নার্সারিতে শত্রুতার জের ধরে বিভিন্ন প্রকার গাছের চারা কীটনাশক দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গত রোববার দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসার মোশরেফুল হাসান ও উপসহকারী সাব্বির আহমেদসহ প্রতিনিধি দল ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সরকারের পক্ষে সব ধরনের সহয়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, এখানে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার চারা আছে, ৪০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। আমরা নমুনা হিসেবে কয়েকটি গাছের চারা নিয়েছি। ল্যাব টেস্ট করে পরে বলা যাবে কি জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মফিজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ্য করে একটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন গেলে জানা যায়, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা কীটনাশক ছিটে নার্সারি বিভিন্ন প্রকার বনজ প্রায় ৬০-৭০ হাজার চারা গাছ কীটনাশক ব্যবহার করে জ্বালিয়ে দেওয়া চেষ্টা করে। মায়া নার্সারির মালিক জসিম উদ্দিন তার পিতা মফিজুর রহমান বলেন, দোকানে ক্যারাম খেলতে বাধা দেওয়ায় কারণে মফিজুর রহমান ৬০ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলা নার্সারির চারা গাছ বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নার্সারিতে আকাশী, বেলজিয়াম, ইউক্যালিপটাস, কড়াই ও লম্বু জাতের ৬০-৭০ হাজার চারা ছিল। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন। জসিম ভাই আবদুর রহিম বলেন, আমার বাবা মফিজুর রহমানের স্থানীয় মহিউদ্দিন মিয়ার সমাজ জামে মসজিদের সভাপতি। গত শুক্রবার এলাকার দোকানে ক্যারাম খেলতে দেখে তিনি এটা বন্ধের নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুর রাজ্জাক সফি মেস্তুরির ছেলে আবদুল হামিদ তার সহযোগী মহিউদ্দিন ও সুমন গালমন্দ ও হুমকি দেন। একই রাতে কীটনাশক দিয়ে আমাদের মায়া নার্সারির হাজার হাজার গাছ পুড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল হামিদ ও মোহাম্মদ সুমন বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িত নই।

আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে। মিথ্যা রটানো হচ্ছে। কে বা কারা এমন করেছে, সেটা আমরাও জানি না। গাছ জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আমরাও সঠিক তদন্ত করে ন্যায় বিচার চাই। থানা ইনচার্জ জানান, মীর জাহেদুল হক রনি জানান, অভিযোগ তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।