অতিরিক্ত ফি নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা
নীলফামারীতে এখনো জমেনি পশুর হাট
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী
পবিত্র ঈদুল আজহায় নীলফামারীর গরু খামারিদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে হলেও এখনও জমে ওঠেনি গরুর হাট। আর ঈদের মাত্র ১০ দিন বাকি, তাই এ নিয়ে খামারিদের পাশাপাশি গরু ব্যবসায়ীরাও চিন্তিত। এবার জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী পারিবারিক এবং বাণিজ্যিক খামার রয়েছে প্রায় ৩১ হাজার। এসব খামারে কোরবানির গরু ও ছাগল রয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার। এবার কোরবানির জন্য ১ লাখ ৪৪ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় ৪৮ হাজার, বলদ ৪ হাজার, গাভী ২৩ হাজার ও ছাগল ১ লাখ ৮৬ হাজার। সরেজমিন বিভিন্ন খামারে ঘুরে দেখা যায়- অস্ট্রেলিয়ান, ফ্রিজিসিয়ান, মুন্ডি ও দেশীয় মোটাতাজাকরণ গরু, রয়েছে খাসি, পাঠা, বকরি ও রামছাগল পাশাপাশি রয়েছে কাশ্মীরী ভেড়া। ডিমলা উপজেলা সদরের খামারি এএইচএম ফিরোজ পারভেজ জানান, গরু হাটে যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ এই কয়েক দিন চলবে গরু ছাগল কেনাবেচা তাই শেষ পরিচর্যা চলছে পুরোদমে। নীলফামারী সদরের খামারি জাহিদ হোসেন বলেন, টাটকা কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুট্টা ও ধানের কুড়া প্রতিদিন গরুর খাবারে রয়েছে, আর এসব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে, আর এখনঅবধি তেমন কোনো পশু বিক্রি না হওয়ায় তারা চিন্তিত বলে জানান।
নীলফামারী সদর পৌর এলাকার টুপির মোড়ের খামারি সাজু আহমেদ বলেন, আমার খামারে দেশি প্রজাতি ছাড়াও সিন্ধি গাই, ফ্রিজিয়ান, ক্রোস ও মুন্ডি জাতীয় গরু রয়েছে, এবার মোটামুটি লাভ হবে বলে তিনি জানান। এবং এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এবার ভারতীয় গরু দেশে না আসায় দেশীয় গরুর চাহিদা বেড়েছে।
ঈদের হাট কেবল জমতে শুরু করেছে বেচা-বিক্রি মোটামুটি হবে বলে তিনি আশাবাদী। নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, এবার কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু-ছাগল রয়েছে, এসব গরু-ছাগলে কোনও প্রকার রাসায়নিক ভিটামিন যাতে প্রয়োগ না করে সেই বিষয়ে খামারিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং গরু-ছাগল হাটে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোরবানির হাট বিষয়ে নীলফামারী পৌর পশু হাটের ইজারাদার মাহাবুল হক শাহ্ জানান, গরু-ছাগল কেবল হাটে জমতে শুরু করেছে, ক্রয়-বিক্রয়ে খামারিরা চিন্তিত থাকলেও সেটা আগামী হাটগুলোতে লাভ হবে বলে তিনি আশাবাদী। গতকাল বুধবার নীলফামারী পশু হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি আদেল মিঞা জানান, এমনিতেই হাটে বেচা-বিক্রি কম তার ওপর অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন হাট কর্তৃপক্ষ, অপর গরু বিক্রেতা আইনুল কসাই জানান পৌর রশিদ ৬০০ টাকা ও চাঁদা ১০০ টাকার বদলে ৭০০-৮০০ টাকা ও চাঁদা ২০০ টাকা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে পৌর সচিব মশিউর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, রশিদে বেশি নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই, তবে যেহেতু অতিরিক্ত টোলের কথা উঠেছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অবস) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নীলফামারীর প্রতিটি হাটে টহল পুলিশ রয়েছে, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।