চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনি এলাকায় চিরকুট লিখে মো. সালাউদ্দিন মিয়া নামের এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা এবং মতলব উত্তরে শাহাদাত হোসেন প্রধান নামের এক যুবক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে শহরের ব্যাংককলোনির আনোয়ার হোসেন জেটের বাড়িতে সালাউদ্দিন আত্মহত্যা করে এবং সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নাউরী গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক শাহাদাতের মৃত্যু ঘটে। সালাউদ্দিন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তানকে নিয়ে আনোয়ার হোসেন জেটের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয় কর্মী। সালাউদ্দিন আত্মহত্যার পূর্বে চিরকুটে কাউকে দায়ী না করে তার আত্মহত্যার কারণ লিখেছেন। তার ক্ষোভ ছিল অর্থ ও ভালোবাসার অভাব। চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম বলেন, সংবাদ পেয়ে রাত ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে সালাউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত এবং আইনি পক্রিয়া শেষে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত শাহাদাত মতলব উত্তর উপজেলার নাউরী গ্রামের প্রধান বাড়ির জালাল প্রধানের ছেলে। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করতেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। শাহাদাতের ছোট বোন সুমাইয়া জানান, ভাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে আমি দেখে চিৎকার দেই। লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহাদাত প্রধানের মৃত্যু হয়। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহত পরিবারের আবেদনের পরিপেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
