নাটোরের বাজারগুলোতে গোপাল ভোগ, ক্ষীরশাপাত, রাণী পছন্দ ও লক্ষণভোগ আমের দাম কমছেই না। বাজারজাতের ১০ দিনের অতিবাহিত হলেও বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের এসব আম। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় এবার মিষ্টি জাতের আম আগের মৌসুমের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল পাইকারি বাজারে মিষ্টি জাতের আমের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে গত বছর এই আম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অতিরিক্ত দামের কারণে আম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে বলে দাবি খুচরা ক্রেতাদের। তবে বাগান ক্রেতাদের দাবি, অতিরিক্ত দামের কারণে তারা লোকসান গুনছে না। আর আড়তদারদের দাবি, সরবরাহের চেয়ে পাইকারি ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকায় বাড়ছে দাম। নাটোরের বাজারগুলোতে গোপাল ভোগ, ক্ষীরশাপাত, রাণী পছন্দ ও লক্ষণভোগ আম উঠেছে। কিন্তু গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। নাটোর জেলার উৎপাদিত ১৩টি মিষ্টি জাতের আমের মধ্যে গোপাল ভোগ, ক্ষীরশাপাত, রাণী পছন্দ ও লক্ষণভোগ বাজারে এসেছে। এছাড়া আরও ৯টি জাতের আম ২০ আগস্ট পর্যন্ত বাজারে আসবে।
গত ২৫ মে থেকে মিষ্টি জাতের আম নাটোরের বাজারগুলোতে আসা শুরু হয়। গতকাল সকালে নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার আমের পাইকারি বাজারে গোপাল ভোগ ও ক্ষীরশাপাত আম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। শুরুতে এই দুটি জাতের আম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও ৩ জুন থেকে প্রতি কেজি আমে ২০ টাকা বৃদ্ধি পায়। এই বাজারে গোপাল ভোগ আম নিয়ে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর বাগান কিনে যে গাছে ৮ থেকে ৯ মণ আম পেয়েছিলাম। এবার ৫ থেকে ৬ মণ আম পাবেন। বাগান ক্রেতা নাজিম মিয়া বলেন, দাবদাহে আমের ফলন ভালো পাননি। এতে করে শুরু দিকের দাম অব্যাহত থাকলে লোকসান গুনতে হতো তাদের। বর্তমান দামে তাদের লোকসান গুনতে হবে না। এই পাইকারি বাজারে আম কিনতে আসা খুচরা ক্রেতা আরিফা আওয়াল বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে আমের দাম বেড়েছে। চলতি বছর অতিরিক্ত দামের কারণে আম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। আড়তদার জনি আহমেদ বলেন, গতবছরে এই বাজারের প্রতিটি আড়তে দিনে ১০০ থেকে ২৫০ মণ পর্যন্ত আম আসত। চলতি বছর দিনে ৩০ থেকে ৫০ মণ আম আড়তগুলোতে আসছে। পাইকার ক্রেতাদের চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় আমের দাম বেড়েছে। চলতি বছর নাটোর জেলায় ৫ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আর ৭৬ হাজার ৭৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।