কিশোরের দায়ের কোপে অপর কিশোর খুন
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে এক কিশোরের দায়ের কোপে অপর এক কিশোর নিহত হয়েছে। নিখোঁজের দু’দিন পর উপজেলার রূহানীনগর কান্তেশ্বর পাড়ার একটি ডোবা থেকে গতকাল দুপুরে ফাহিম ফরহাদ নামে খুন হওয়া কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মধু রায় নামের অপর কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র (দা) উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ফাহিম ফরহাদ উপজেলার আরাজি দেওডোবা এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে ও একই এলাকার ওসমান গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। হত্যার দায়ে অভিযুক্ত মধু রায় রুহানীনগর এলাকার সুভাষ রায়ের ছেলে। পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকে ফরহাদ নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর ফরহাদের পরিবারবিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মোটরবাইকে করে মধু রায় নামের ওই কিশোরকে ফরহাদ নিজ এলাকা দেওডোবা থেকে মধুর বাড়ির এলাকা অর্থাৎ রূহানীনগরে পৌঁছে দিতে আসে। ওই এলাকার একটি ফাঁকা স্থানে বসে তারা মাদকও সেবন করে। সে সময় তাদের মধ্যে প্রথমে গাঁজা সেবন এবং পরে মোটরবাইকের লেনদেন নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়। একপর্যায়ে মধু একটি ধারালো দা দিয়ে ফরহাদকে উপর্যুপরি কোপ দেয়। পরে তার রক্তাক্ত মরদেহ বস্তাবন্দি করে প্রথমে ধানখেতে ফেলে রাখে। পরে সেখান থেকে সেই বস্তা টেনে-হেঁচড়ে ডোবায় নিয়ে এসে ফেলে দেয়। ফরহাদ নিখোঁজের ঘটনা তদন্তের পর আদিতমারী থানা পুলিশ মধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মধু হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ তার বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দাটি উদ্ধার করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুসারে গতকাল ডোবা থেকে ফরহাদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অপরদিকে ফরহাদের পরিবারের অভিযোগ, ফরহাদ মধুর কাছ থেকে পুরাতন মোটরবাইক কেনে। সেই বাইকের লেনদেনের জের ধরেই ফরহাদকে হত্যা করেছে মধু। আদিতমারী থানার এসআই ফারুক হোসেন বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার করে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছি। বাকি আইনি প্রক্রিয়া সিনিয়র কর্মকর্তারা সম্পন্ন করছেন।