ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ছাগলনাইয়া (ফেনী) : জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মিজানুর রহমান মজুমদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
আমতলী (বরগুনা) : উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
যশোর সদর : যুবলীগ কর্মী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
উজিরপুর (বরিশাল) : উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান ইকবাল কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৮ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাদল আনারস প্রতীক নিয়ে ৭১ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
বোয়ালমারী (ফরিদপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৩ হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর): ব্যবসায়ী কাজী মনিরুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৩ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মিল্টন ৫৭ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পার্বতীপুর (দিনাজপুর): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ৭১ হাজার ১৬৭ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান হয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) : উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল আনারস প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কচুয়া (চাঁদপুর): পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম টেলিফোন প্রতীকে ৩৪ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর): উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খাজে আহমেদ মজুমদার চিংড়ি প্রতীকে ৬২ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): আবুল মনসুর কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৪০ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।০
নন্দীগ্রাম (বগুড়া): উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
ধুনট (বগুড়া): উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আসিফ ইকবাল আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত আনারস প্রতীকে ৫৫ হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সখীপুর (টাঙ্গাইল): মুহাম্মদ আবু সাঈদ মিয়া আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন।
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা): উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া ঘোরা প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ): শান্তিগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সাদাত মান্নান অভি। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৯৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হয়েছে এবার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে।
এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। তৃতীয় ধাপে মোট ১ হাজার ১৫২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২৯ মে এই ধাপের নির্বাচনে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে তৃতীয় ধাপে ২২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরমধ্যে দুটির নির্বাচন গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি ২০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৯ জুন।