ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোরবানিতে সৌখিনদের পছন্দ ‘গয়াল’

কোরবানিতে সৌখিনদের পছন্দ ‘গয়াল’

চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায় পশুটিকে বলা হয় ‘গয়াল’। বিলুপ্তপ্রায় এ পশুটি ‘চিটাগাং বাইসন’ নামেও পরিচিত। এছাড়া পার্শবর্তী দেশ ভারতে ডাকা হয় মিথুন নামে। বর্তমানে গরুর পাশাপাশি গয়াল লালনপালন করছেন অনেক খামারি। বর্তমানে কোরবানিতে সৌখিনদের পছন্দের জায়গা দখল করেছে এ ‘গয়াল’। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে আদর ডেইরি ফার্ম এবং সিরাজ ক্যাটেল ফার্মে এমন কয়েকটি গয়াল রয়েছে। কোরবানির জন্য খামারিরা প্রস্তুত করেছেন গয়ালগুলো। গতকাল সকালে ফার্ম দুটি ঘুরে আদর ডেইরি ফার্মের মালিক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, গত ১০-১১ বছর ধরে মোটাতাজাকরণ গরু পালন করে আসছি। এর পাশাপাশি ২ বছর থেকে ১৫টি গয়াল পালন করছি। গরুর মতোই সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয় গয়ালকে। নিয়মিত গোসল করাতে হয়। তিনি বলেন, আমার খামারে গরুর পাশাপাশি গয়ালও পালন করছি। এ কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এদের। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিদিন সকাল-বিকাল দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ গয়াল দেখতে ফার্মে ভিড় করছেন। কম চর্বিযুক্ত গোশতের কারণে দেশীয় গরুর চেয়ে গয়ালের ওজন দ্বিগুণ। মাংসও বেশ সুস্বাদু। ইলিয়াছ হোসেন আরো বলেন, বাজারে বিক্রি হওয়া গরু-মহিষের তুলনায় গয়ালের দাম একটু বেশি। একেকটি গয়াল ওজন ভেদে বিক্রি হচ্ছে। গরু-মহিষের চেয়ে বেশি গোশত হওয়ায় গয়ালের চাহিদা বাড়ছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. নাহিদ হাসান বলেন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে সাড়ে ১৩ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। মজুত আছে ১৪ হাজার পশু। তিনি বলেন, এ উপজেলার কয়েকটি ফার্মে গরুর পাশাপাশি গয়াল পালন করছেন খামারিরা। এর মধ্যে মিয়াবাজার এলাকার আদর ডেইরি ফার্মে কয়েকটি গয়াল পালন করছেন খামারি ইলিয়াছ হোসেন। গয়ালগুলো দেখতে সেখানে ভিড় করেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত