নোয়াখালীর সেনবাগে একটি দিঘিতে জাল ফেলে ২২ কেজি ওজনের দুইটি বিশাল চিতল মাছ পাওয়া গেছে। মাছ দুইটি তাৎক্ষণিক দুই ব্যক্তি ১ হাজার টাকা কেজি করে ২২ হাজার টাকায় কিনে নেন। গতকাল সকালে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কেশারপাড় দিঘিতে মাছ দুইটি ধরা পড়ে। ব্যবসায়ী আবুল হাশেম মজুমদার ও সোনাইমুড়ি গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক আবু নাসের মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ১ হাজার টাকা কেজি করে মাছ দুইটি ২২ হাজার টাকায় কিনে নেন। জানা যায়, ৪ বছর আগে যশোর থেকে আনা অন্যান্য মাছের সঙ্গে চিতল মাছের পোনা ছেড়েছিলেন সৌখিন মৎস্য ব্যবসায়ী রেজাউল করিম জুয়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে জাল ফেললে ১২ কেজি ওজনের ও ১০ কেজি ওজনের দুইটি বিশাল বড় চিতল মাছ ধরা পড়ে। মাছ দুইটি দেখতে তাৎক্ষণিক মানুষের ভিড় জমে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহেল বলেন, মাছ দুটিকে সরাসরি দেখতে আশপাশের উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। অনেকেই মাছ দুইটি কিনতে আগ্রহী হয়েছিল। তবে একজন ব্যবসায়ী ও একজন শিক্ষক মাছ দুইটি কিনে নেয়। ব্যবসায়ী আবুল হাশেম মজুমদার বলেন, আমাদের কেশারপাড় দিঘিটা ঐতিহ্যবাহী দিঘি। এখানের বড় মাছগুলো আমরা নেওয়ার চেষ্টা করি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১২ কেজি ওজনের বড় চিতল মাছটি আমি কিনে নিয়েছি। বড় মাছ খাওয়া আসলে শখ ও সুন্দর ব্যাপার। শৌখিন মৎস্য ব্যবসায়ী রেজাউল করিম জুয়েল বলেন, আমি চার বছর আগে যশোর থেকে আনা চিতল মাছের পোনা ফেলেছিলাম। সব মাছ এমন ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের হয় নাই। তবে বেশিরভাগ মাছই বড় হয়েছে। এই দিঘি বিশাল হওয়ায় এখানে মাছও বড় হয়। অন্যান্য দেশিও মাছও ১০ কেজির ওপরে পাওয়া যায়। সেনবাগ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মাছ দুইটির ছবি আমিও ফেসবুকে দেখতে পেরেছি। প্রায় মানুষের সমান বিশাল এই মাছগুলো। আসলে বড় মাছ দেখতেও ভালো লাগে। শৌখিন জেলে রেজাউল করিম জুয়েল তার বন্ধুদের নিয়ে দিঘিটি পরিচালনা করেন। তিনি বিভিন্ন সময় মাছের জন্য বরশি উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শৌখিন মাছ শিকারিরা এসব উৎসবে মাছ শিকার করে থাকেন।