ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জামালপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু

জামালপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র সপ্তাহ খানেক। আর ঈদকে সামনে রেখে জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রান্তিক ও বড় খামারিরা গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা। অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু আমদানি না হলে লাভবান হওয়ার আশা এসব খামারিদের। খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগ। প্রতি বছরের মতো লাভের আশায় এবারও জেলার খামারিয়া গরু লালন পালন করছেন।

এখনও হাট-বাজারে কোরবানির গরু ওঠা শুরু না হলেও পাইকাররা খামারে খামারে গিয়ে দরদাম হাকাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ খামারিরা রাজধানী ঢাকায় গরু নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খামারিরা জানায়, কোরবানির পশু জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হবে। দেশীয় পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস, খড়, খৈল, ছোলা ও ভুসি খাওয়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত পশু ডাক্তার দিয়ে পশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এবার খাদ্যের দাম বেশি থাকায় গরুর দাম গেল বছরের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। তবে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আমদানি না হলে লাভবান হবেন খামারিরা। জেলার ৭ উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার খামারি ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিকভাবে যে পরিমাণ কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছে তাতে জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় পাঠানো যাবে। হারুন শেখ নামের এক খামারি জানান, প্রতিবছর দেখা যায়, কোরবানির ঈদ আসলেই ভারত থেকে গরু আসে। এতে করে আমাদের দেশীয় গরুর দাম কমে যায়। আর বিশাল ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের মতো খামারিদের। এবারও যদি ভারত থেকে গরু আসে আমাদের মতো যারা খামারি আছে তাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

জামালপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, এ জেলার খামারিদের সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করণে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই কোনো ধরনের ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা। এ জেলায় যে পরিমাণ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে তাকে জেলার চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় পাঠানো যাবে। এবার জেলায় প্রায় ৫০ হাজার গরু-মহিষ, ৬০ হাজার ছাগল-ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পক্ষান্তরে জেলায় চাহিদা রয়েছে ৫২ হাজার। এবার ঈদে কোরবানির পশুর ভালো দাম পাবে- এমনটাই প্রত্যাশা খামারিদের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত