রাজাপালংয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল মনসুর

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, উখিয়া (কক্সবাজার)

ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, গ্রামপুলিশ, দফাদার ও ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার অভিযোগ এনে উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজাপালং ইউনিয়নে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল মনসুর চৌধুরী। গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়া আলীমউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেজুরকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খয়রাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ রাজাপালং ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার অভিযোগ তুলেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল মনসুর চৌধুরী (মোটরসাইকেল মার্কা)।

গত শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নে ১৩২১ ভোটে আমি জয়ী ছিলাম। কিন্তু, রাজাপালং ইউনিয়নের ভোটারদের গোপন ভোটকক্ষে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী উখিয়া টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য শাহিন আক্তারের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর লোকজন গিয়ে জোরপূর্বক আনারস প্রতীকে ভোট প্রদান করে ইভিএম এ অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। রাজা পালং ইউনিয়নে ভোটাররা ফিঙ্গার দিলেও জোরপূর্বক ভোট দিয়েছে তার লালিত ও ভাড়াটিয়া লোকজন।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সাবের এমপি আব্দুর রহমান বদির শ্যালক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র দখল করে ফলিয়াপাড়া আলিম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ২৩২৩ ভোট নেন আনারস প্রতীকে। পক্ষান্তরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মোটরসাইকেল মার্কা পান মাত্র ১৩ ভোট, এছাড়া উখিয়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আনারস মার্কায় ৮১১ ভোট ও মোটরসাইকেল মার্কা পান ৫৮ ভোট এবং পাতাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আনারস প্রতীক পান ৮৬৭ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মোটরসাইকেল মার্কা পেয়েছে ৯৮ ভোট। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলেও দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান দেখা দিয়েছে। অস্বাভাবিক প্রাপ্ত ভোটের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, আমি উখিয়া উপজেলার সকল ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

চারটি ইউনিয়নে এত কড়াকড়ি ও প্রভাব বিস্তারের পরও তাকে ভোট প্রদান করায়। কিন্তু জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন রাজাপালংয়ে ভোট দিতে না পেরে হাজার হাজার ভোটার চোখের পানি ফেলে চলে আসছে। কেন্দ্রের ভেতর নিজস্ব বাহিনী দ্বারা জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’