নজর কাড়ছে ৪০ মণের ‘বাংলার রাজা’
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর পৌরশহরের হাজিপুর এলাকাস্থ আজিজুল ইসলাম শাওনের খামারটি এখন দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। স্থানীয় আশপাশের এলাকার মানুষ ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন। তবে তারা এই খামারটিকে দেখতে আসছেন না, বরং তার খামারে থাকা ‘বাংলার রাজা’ আকৃষ্ট করছে সবাইকে। ৪০ মণ ওজনের ষাঁড়টিকে ওই নাম দেওয়া হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহার জন্য পশুটিকে পরম যত্নে লালন-পালন করেছেন শাওন। আদর করে ডাকেন ‘বাংলার রাজা’ বলে। দাম হাঁকছেন ৩৫ লাখ টাকা। বিগত ৫ বছর ধরে গরুটি পালছেন আজিজুল ইসলাম শাওন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের আগে পত্রিকায়, টেলিভিশনে বড় বড় ষাঁড় গরুর ছবি দেখে নিজেরও একটি খামার গড়ে তোলা ও বড় ষাঁড় গরু পালনের স্বপ্ন দেখেন তিনি। পরবর্তীতে তার বাবা আখতারুজ্জামান পল্টুর কাছে নিজের শখের কথা বলেন। পরে তার বাবা অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গাভীসহ একটি ষাঁড় বাছুর কিনে দেন। এরপর থেকে দীর্ঘ ৫ বছর পশুটি লালন-পালন করেন শাওন। বর্তমানে ষাড়টির ওজন ১৬০০ কেজি। শাওনের দাবি বলেন, রাজশাহী বিভাগের মধ্যে তার বাংলার রাজা সবচেয়ে বড়। কেন না, বিভিন্ন হাটে যাচ্ছি, কিন্তু এই পশুটির মতো এত বড় কোনো ষাঁড় পশু চোখে পড়ছে না। তার বাংলার রাজাকে দেখতে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ তার খামারে আসছেন। দেখার পর তাদের মন্তব্য, এটি ষাঁড় পশু না-কি ‘রাঙামাটির পাহাড়’ কেউ বলছেন ‘মহাস্থানের গড়’। আবার অনেকেই বলছেন, এটি একটি ‘হাতি’। তিনি এবারের কোরবানির ঈদে ষাঁড়টিকে বিক্রি করবেন। তবে স্থানীয় কেউ নিলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত নিজ খরচে ষাঁড়টিকে লালন পালন করে দেবেন বলেও মন্তব্য করেন। শাওনের বাবা আখতারুজ্জামান পল্টু বলেন, বাড়িতে গড়ে তোলা খামারে আগে থেকেই পশু পালন করে আসছি। ছেলেটিরও শখ ষাঁড় পশু পালন করবে। তাই আমিও তাতে সায় দেই। তাকে আলাদা করে একটি ষাঁড় বাছুর দেই। প্রতিদিন পশুটিকে ভুষি, খৈল, খড়, ধানের কুড়া, কাঁচা ঘাস খাইয়েছেন। এজন্য ব্যয় হয়েছে, ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। পশুটির নাম বাংলার রাজা রাখলেন, কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সেরা গরু হবে এজন্য ‘বাংলার রাজা’ রাজা নাম রাখা হয়েছে। কেমন দামে গরুটি বিক্রি করতে চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩৫ লাখ টাকা আমাদের চাওয়া দাম। ক্রেতারা তো দাম দর করেই নেবে। গরুটি পালতে গত ৫ বছরে আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় ২২ লাখ টাকা। গরু আপাতত খামার থেকেই বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি বিক্রি না হয়, তাহলে ঈদের ৩ দিন আগে ঢাকার হাটে নিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।