সোনাগাজীতে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ক্রেতা সাধারণের নাভিশ্বাস ওঠেছে। গতকাল সোনাগাজী পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে জানা গেছে, নিত্যপণ্যের অস্থিরতার খবর। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া যেন থামানোর কেউ নেই। গতকাল সোনাগাজীতে মোটা চাউল ৫৭, মিনিকেট ৭৪, চিনিগুড়া ১২০, চিনি ১৩০, গুড় ১৮০, জিরা ৮০০, শুকনো ধনিয়া কেজি ২০০, আলু ৫৫, ডাউল ৮০, সয়াবিন লিটার ১৬৫, সরিষার তেল লিটার ২৫০, ব্রয়লার মোরগ প্রতি কেজি ১৮০, সোনালি মোরগ প্রতি কেজি ৩৫০, কক মোরগ প্রতি কেজি ৩৪০, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০, কাতল প্রতি কেজি ৪০০, রুই ৩৮০, সামুদ্রিক টেংরা প্রতি কেজি ৫০০-৬০০, চিংড়ি ৮০০, ছোট চিংড়ি ৪০০, ইলিশ ১ কেজি ওজনের ১৮০০-২০০০, ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত প্রতি কেজি ১২০০, লরকা ৫৫০-৬০০, বাটা ৫০০, রিকশা ৮০০, নদীর পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ৩০০, ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫০, দেশি মুরগির প্রতি হালি ডিম ১০০, খামার হাঁসের প্রতি হালির ডিম ৮০০, দেশি হাঁসের প্রতি হালি ডিম ১০০, গরুর মাংস প্রতি কেজি হাড্ডিসহ ৭৫০, হাড্ডি ছাড়া ৮৫০, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ২২০, পুঁইশাক প্রতি কেজি ৫০, কলমি শাক প্রতি আঁটি ২০, ঢ্যাঁড়শ প্রতি কেজি ৪০, লতি প্রতি কেজি ৫০, কচু প্রতি জোড়া ১০০-১২০, বরবটি প্রতি কেজি ৬০-৬৫, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০-৮৫, রসুন প্রতি কেজি ২০০-২১০, আদা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০, করলা প্রতি কেজি ৮০-৯০, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২২০, শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ২৬০-৪০০, আম্রপালি প্রতি কেজি ৮০-১০০, লৎনা আম প্রতি কেজি ৬০-৭০, হিমসাগর ১০০-১১০, লিচু প্রতি শত ৫০০-৬০০, কালো জাম প্রতি কেজি ১৫০-১৬০, পেয়ারা প্রতি কেজি ৬০-৭৫, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০, বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, ও ধনিয়াপাতা প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চরগণেশ গ্রামের শেখ আবদুল হান্নান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পালা করে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে। দিন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী বাহার উল্যাহ বলেন, প্রতি দিনই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে। প্রতিদিনই ক্রেতা সাধারণের সঙ্গে বাগবিতাণ্ডা করতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে। মসল্লার বাজারেও আগুন জ্বলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, দিন দিন দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা টাঙাতে বলা হয়েছে।