কোরবানির হাট কাঁপাবে কুষ্টিয়ার ‘শেরখাঁন’

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

এবার ঈদে কুষ্টিয়ার কোবরানির হাট কাঁপাবে ‘শেরখাঁন’। নাম শুনলেই মনে হবে কোনো এক এলাকার প্রভাবশালীর ব্যক্তির নাম। কিন্তু এটি একটি বিশাল আকৃতির কোরবানির পশু গরু। গরুর মালিক আকমাল ইসলাম নিজের ভাব প্রকাশ করতেই তার নাম রেখেছে শেরখাঁন। শেরখাঁনের ওজন ১৬০০ কেজি। মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ১৫ লাখ টাকা। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের প্রান্তিক খামারি আকমাল ইসলাম দীর্ঘ ৪ বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে বড় করেছেন। নিজের ভাব প্রকাশ করতেই আদর করে গরুটির নাম দিয়েছেন শেরখাঁন। সুঠাম দেহের অধিকারী সুউচ্চ এই গরুটিকে কোরবানির হাটে তোলার জন্য অনেক কষ্টে গোয়ালঘর থেকে বের করতে হয়েছে তাকে। যে কারণে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ শেরখাঁনকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন গরুটির মালিক কৃষক আকমালের বাড়িতে।

বিশাল আকৃতির গরুটি লালন পালন করায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকেও মিলেছে পুরস্কার। প্রশংসিত হয়েছেন উপজেলা এলাকার সেরা খামারি হিসেবেও। গরুটির মালিক আকমাল ইসলাম জানান, ৪ বছর ধরে গরুটিকে ঘাস, খোল, ভুষি, কলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলফলাদি খাইয়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালন পালন করে নিজ সন্তানের মতো অতিকষ্টে বড় করে তুলেছি। আদরের পশু শেরখাঁনকে লালন-পালন করতে তার অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। সেরখানকে বড় করতে অনেক টাকা ঋণ হয়ে পড়েছেন তিনি।

ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই তাকে এবারের কোরবানির হাটে বিক্রি করতে হচ্ছে। কোরবানির হাটে যেসব গরু উঠছে, তার মধ্যে শেরখাঁন এখনো সেরা সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু। মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সোহাগ রানা বলেন, এই উপজেলায় পশু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন কৃষকরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস তাদের নানাভাবে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় কৃষক আকমালের বাড়িতে গরুটিকে দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন। গরুটির মালিক স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালন পালন করে গরুটিকে বড় করে তুলেছেন।