দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিহীন গৃহহীনদের জমি ও ঘর বিতরণ

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে দেশের আরো ৭০টি উপজেলা। এর মধ্য দিয়ে সারা দেশে ৫টি পর্যায়ে এবং ১০টি ধাপে ৫৮টি জেলার সর্বমোট ৪৬৪টি উপজেলার শতভাগ ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর করেন। জানা গেছে, এবারের পর্যায়ে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোণা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জও সুনামগঞ্জ-জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে।

সোনাগাজী (ফেনী) : সোনাগাজীতে আরো ১২২টি পরিবার ঘর-জমি বুঝে পেয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার লুবনা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটু, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল হাসান প্রমুখ।

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) : বীরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জরাজীর্ণ ব্যারাকে বসবাসরত পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তরকালে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু হুসাইন বিপু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ছানাউল্লাহ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আয়শা আক্তার বৃষ্টি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওসমান গনি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিবরীল আহমেদ, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নিবেদিতা দাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার আলী শাহ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীরসহ আরো অনেকে।

মধুখালী (ফরিদপুর) : বেলা ১১টায় ফরিদপুরের মধুখালীতে ৫ম পর্যায়ে ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলার ৪টি স্থানে নির্মিত ৬৩টি গৃহ সংশ্লিষ্ট উপকার ভোগীদের মধ্যে ২ শতাংশ জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। মধুখালী উপজেলাধীন আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় রায়পুর ইউনিয়নের দামোদরদি আশ্রয়ণ প্রকল্পে-১৬টি, মধুখালী পৌসভার দাউলিয়াপাড়া আশ্রায়ণ প্রকল্পে-৬টি, ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর আশ্রায়ণ প্রকল্পে-২৫টি এবং গাজনা ইউনিয়নের মহিষাপুর আশ্রায়ণ প্রকল্পে-১৬টি ঘর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনীকের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ২ শতাংশ জমি ও ঘরের দলিল হস্তান্তর করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ মুরাদুজ্জামান মুরাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মো. এরফানুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোহসিন বিশ্বাস কালু, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনজুরুল আলম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামসহ প্রমুখ।

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোম বাজারস্থ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। গতকাল সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ইমাম রাজীব টুলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আমজাদ হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েনা আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি, তুমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর মিয়া, মোক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আলমগীর হোসেন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ ও স্থানীয় সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা প্রান্তের সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সদর উপজেলার ১১০টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেন। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিশ সরকার প্রমুখ। এছাড়া, আশাশুনি উপজেলার বাকী ১৪০টি পরিবারের মাঝে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট একক গৃহের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। এর আগে জেলার বাকি উপজেলাগুলোকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : কেন্দুয় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রিমা সরকারের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম, নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীমা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূঞা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম সুমি, কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রুহুল আমিন, সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বজলুর রহমান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্ব শর্মা প্রমুখ।