পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। কুরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে ঐতিহ্যবাহী কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেতে শুরু করেছে। সদর উপজেলা প্রশাসনের দিকনির্দেশনায় সুন্দর ব্যবস্থাপনায় মুক্তারপুরে অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার বৃহত্তম পশুর হাট মুক্তারপুর পশুর হাটে নির্ধারিত সময়ের আগেই ব্যবসায়ীরা দেশি গরু, মহিষ ও ছাগল নিয়ে এসেছে। এই হাটে গরু-মহিষের পাশাপাশি ছাগলেরও দেখা মিলেছে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের আনাগোনা তত বেড়েছে এই হাটে। এখানে গুরু নিয়ে আসা একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের মূল্য চড়া থাকায় গরু প্রতি খরচ বেড়েছে দেড়গুণ। এই হাটে ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার গরুও উঠেছে। ক্রেতারা এই হাটে ভিড় করছেন, তারা কেবল পশু দেখছেন এবং দাম যাচাই করছেন। কেউ কেউ স্বাচ্ছন্দ্যে গরু কিনে বাড়ি ফিরছেন। গতকাল পর্যন্ত এই হাট থেকে ৫০টি গরু বিক্রি হয়েছে। যদিও সার্বিকভাবে এখনও জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট। পশু বেপারিরা বলছেন, ক্রেতার সমাগমও এখন কম। গত ৮ জুন থেকে মুক্তারপুর হাট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে এই হাটে বেচা-বিক্রি চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। তবে ক্রেতারা বলছেন, গতবারের চেয়ে এবার পশুর দাম একটু বেশি চাচ্ছেন বেপারিরা। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় পশুর দাম এবার কিছুটা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অস্থায়ী পশুর হাট মুক্তারপুরের হাটে কথা হয় আরিফ নামের এক গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাদাতপুর থানার কাশিপুর গ্রামে নিজ মালিকানাধীন ছোট খামার থেকে ৩৪টি গরু নিয়ে এসেছেন মুক্তারপুরে। তিনি বলেন, গরু প্রতি এবার খরচ পড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় দেড়গুন। খাদ্যের মূল্য চড়া ও খামারে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিসহ নানা কারণে খরচ বাড়ছে। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা সাদ্দাম নামে আরেক গরু বেপারী ১১ মণের একটি গরু দেখিয়ে বলেন, এখনও তো বিকিকিনি শুরু হয়নি। তবে ছোট-বড় মাঝারি সব সাইজের গরু এখানে উঠেছে ক্রেতারা তাদের পছন্দ ও সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে গরু কিনতে পারবেন। ১০ লাখ টাকা দামেরও গরু এখানে রয়েছে বলে জানান। অল্প কিছু কম হলেও গরুটি ছেড়ে দেবেন বলে জানান। একই হাটে ফরিদপুরের থেকে ২২টি মাঝারি সাইজের গরু নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, তার ভাই ও ভাতিজা মিলে ৩০টি গরু সিরাজগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে এনছেন। এখানকার হাটের পরিবেশ দেখে তিনি মুগ্ধ এখনে ইজাদারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ভালো বলে জানান এই গরুর বিক্রেতা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, থাকা, খাওয়া, টয়লেট ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহ নিয়ে তার মতো অনেক গরু বিক্রেতা সন্তুষ্ট। হাটের ইজারাদার আব্দুল মতিন জানান, মুক্তারপুর পশুর হাটে ৬হাজার পশু রাখার ধারন ক্ষমতা রয়েছে। পশু রাখার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা হচ্ছে না।