রাসেল ভাইপার আতঙ্ক
ফরিদপুরে ছয় মাসে পাঁচজনের মৃত্যু
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীর ও চরে বসবাস করা মানুষের মধ্যে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের আতঙ্ক জেঁকে বসেছে। জমির ফসলসহ গবাদিপশুর খাবার সংগ্রহ করতেও ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। চরাঞ্চলে এই সাপের কামড়ে ছয় মাসে ঠান্ডু মাতুব্বর, আনোয়ার শেখ, শুভা মাতুব্বর, জাহিদ ফকির, শেখ আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, সদরপুর উপজেলার দিয়াড়া নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদী সংলগ্ন নন্দলালপুর, হাওলাদার কান্দি চুঙ্গা কান্দি, হকিয়াতপুর, বিশ্বাস কান্দি, কোটি কান্দি, হালিম মাতুব্বরের কান্দি, জব্বর শিকদার কান্দি ও কুদ্দুস মোল্লার কান্দি চর এলাকার শতাধিক কৃষক জমি চাষ করেন। দিয়াড়া নারিকেল বাড়িয়ার বেশিরভাগ জমি নদীগর্ভে বিলীন হয় প্রতিবার। তাই এই চরে কৃষকরা ভুট্টা, বাদাম, তিল, আমন ও আউশ ধানের চাষ শুরু করেন। এরই মধ্যে ভুট্টা ঘরে তুলে তিল ও ধানের চাষ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে দুজন কৃষক আমন ধান কেটে রেখে দেয়। পরে দুপুরে আঁটি বাঁধা সেই ধান তুলতে গিয়ে রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়। তাদের দুজনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাপের কামড়ের খবরে অন্য শ্রমিকরা ধান রেখে চলে যায়। নুরুউদ্দিন সরদার কান্দি এলাকার রাজা মল্লিক জানান, গত কয়েক দিনে তিনি তিনটি রাসেল ভাইপার সাপ দেখতে পেয়েছেন। দিয়াড়া নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলজুড়ে রাসেল ভাইপার সাপের কারণে কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ মাঠে যেতে চাচ্ছে না এবং ধান, ভুট্টা কাটতে শ্রমিকও পাচ্ছে না। দিয়াড়া নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে আরও দুইজনকে রাসেল ভাইপার দংশন করে। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চরাঞ্চলে আমার ইউনিয়নের, নন্দলালপুর, হাওলাদার কান্দি, কুদ্দুস মোল্লার কান্দি, হালিম মাতুব্বরের কান্দি, জব্বর শিকদার কান্দি, কাচিকাটাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছে। এ বিষয়ে ইউনিয়নের সকল জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওমর ফয়সল বলেন, দিয়াড়া নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের রাসেল ভাইপারের কামড়ে যে পাঁচজন মারা গেছে এমন কোনো তথ্য আমি পাইনি, পাঁচজনের মধ্যে এই হাসপাতালে কেউ মারা যায়নি।