ঢাকার ধামরাইয়ে শিশু জিসানকে বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের ৩ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৪)। হত্যাকারী আল আমিন জিসান হাসান রাব্বীকে তারই প্যান্টের রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কালামপুর কবরস্থানের পাশে এক ভিটায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে সিপিস-২, র্যাব-৪ ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান। নিহত শিশু জিসান হাসান রাব্বির বাবা জুয়েল রানার সাথে কালামপুর বাজার এলাকার আব্দুস সালামের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। জিসানের বাবা কালামপুর বাজারে হাজী বিরিয়ানি হাউজে চাকরি করতেন। গ্রেপ্তারকৃত আল-আমিন মানিকগঞ্জ সদর থানার জয়রা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। তিনি কালামপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। র্যাব-৪ জানায়, গত ৯ জুন বিকালে কালামপুর কবরস্থান এলাকায় গিয়ে শিশু জিসানের গলায় রুপার চেইন দেখতে পায় আল-আমীন। মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য জিসানকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাকে বলাৎকার করে তার গলার রুপার চেইনটি খুলে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে শিশুটির পরিহিত প্যান্টের দড়ি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে শিশুটি মাথার অংশ কাদামাটির নিচে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। র্যাব-৪ এর সিপিস- ২ নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, নিখোঁজের পর জিসানের পরিবার র্যাব-৪ এ অভিযোগ দিলে তদন্ত শুরু করে র্যাব। পর দিন জিসানের পরিবার জানায় জিসানের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় র্যাব। লাশ উদ্ধারের প্রায় তিন ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী আল-আমীনকে ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আল-আমিন ছিঁচকে চোর হিসাবে পরিচিত। সে নিয়মিত মাদক সেবন করত, সেই মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে এ ধরনের চুরি করত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।