ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে পশুর হাট

বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে পশুর হাট

নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীপুর তহুরা আমিন (টি আমিন) সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে পশুর হাট বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঠ রক্ষার্থে পশুর হাট বন্ধের দাবি জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু পশুর হাটের নিয়মনীতি উপেক্ষা করেই খেলার মাঠ নষ্ট করে পশুর হাটের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জাহাঙ্গীপুর তহুরা আমিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয়ের মাঠে জাতীয় দিবসের সব প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এর সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ের সব ধরণের খেলাধুলা ওই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এ দিকে বিদ্যালয়ের পাশেই মদন উপজেলা সর্ববৃহৎ দেওয়ার বাজার। দেওয়ান জাহের বখত গং নামের ওয়াকফস্টেট বাজার পরিচালনা করেন। সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন দেওয়ান বাজারে হাট বসে। প্রতি বৃহস্পতিবার ওই বাজারে পশুর হাট বসলেও বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার হয় না। কিন্তু ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাটের জন্য প্রতিবছরেই বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। গত সোমবার থেকে পুরো খেলার মাঠজুড়ে খুঁটি পুতে দখল করা হয়েছে। মাঠ রক্ষার্থে পশুর হাট বন্ধের দাবি জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৮ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্তও বিদ্যালয়ের মাঠটি বাজারের দখলে রয়েছে। অপর দিকে বটতলা জামে মসজিদ ও দারুল উলুম মাদ্রাসার নামে ওয়াকফস্টেট গঠন করে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে পশুর হাট বসিয়ে আসছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পশুর হাট বসিয়েছে একটি চক্র। জানতে চাইলে দেওয়ার জাহের বখত গং ওয়াকফস্টেটের মোতাওয়াল্লী দেওয়া মোদাচ্ছের হোসেন সফিক জানান, বিদ্যালয়ের মাঠের জায়গাটি আমি দান করেছি। প্রতি বছর আমি মাঠ সংস্কার করে দিই। কিন্তু পশুর হাটের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বছর আমার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেছে। টাকা না দেওয়ায় সে অভিযোগ করেছে। বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট যাতে না বসে প্রয়োজনে আমি মাইকিং করব। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষার্থে পশুর হাট বন্ধের জন্য আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ দেওয়ার পর দেওয়ান সফিক সাহেব আমাকে ডেকেছিল। আমরা কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করি। বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসানোর জন্য তিনি আমাকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি কোনো টাকা দাবি করিনি। এ ব্যপারে মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বন্ধের জন্য ১১ জুন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম আরিফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে হাট ও বাজারের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো কাগজপত্র দু’টি ওয়াকফস্টেট দেখাতে পারেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত