কেশবপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে যশোরের কেশবপুরে পশুর হাট। কোরবানির পশু কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো। কেশবপুর সদর পশুহাট, সরসকাটি, মঙ্গলকোট, সাতবাড়িয়া, চিংড়া, শুড়িঘাটা ও ভান্ডারখোলা বাজার। এই মোট ৭টি পশুর হাট বসেছে কেশবপুরে। এসব হাটে প্রচুর দেশি গরু উঠেছে। অন্যান্য ভ্রাম্যমাণ পশুহাটে অল্প পরিমাণ ভারতীয় গরু দেখা গেলেও কেশবপুর শহরের পশুহাটে চোখে পড়েনি। এখানে শুধু দেশীয় খামারে পালিত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ায় পরিপূর্ণ। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ক্রেতারা শেষ বেলায় গরু বা কোরবানির পশু কেনার জন্য ছুটছেন পশুহাটে। জানা গেছে, কেশবপুর সদর পশুহাট সোমবার ও বুধবার। গতকাল ছিল কেশবপুর শহরের কোরবানির পশুর শেষ হাট। সকাল থেকে ক্রেতা বিক্রেতাদের জমজমাট বেচাবিক্রি লক্ষ্য করা যায়। ভারতীয় গরু না থাকায় এসব হাটে এ বছর দাম গত বছরের তুলনায় একটু বেশি। এতে সন্তষ্ট খামারি ও দেশীয় গরু ব্যবসায়িরা। লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্য পাওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে না খামারিদের। একইভাবে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পশু কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিক্রিতেও রয়েছে প্রতিযোগিতা। এ বছর পশু হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশী। কেশবপুর উপজেলা সদরের পশুহাট মালিক ওয়াহেদুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, অন্য বারের তুলনায় এবার প্রচুর পরিমাণে দেশি গরু, ছাগল ও ভেড়া আমদানি হয়েছে। বেচা বিক্রিও অনেক বেশী। কেশবপুরের পশুহাটটি অনেক পুরাতন একটি হাট। এটি যশোর সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পশুহাট হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া জাল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন থাকাসহ বাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা আসছেন এবং নির্ভয়ে বেচাকেনা করছেন। প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে ২ হাজার গরু বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।