কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চামড়াবন্দর এলাকায় রাস্তা পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার ৫ বছর হয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ। এতে করে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত সড়কের কাজ শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে করিমগঞ্জ-চামড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে চামড়াবন্দরের ব্যবসায়ী ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে ২০২০ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একরামপুর এলাকা থেকে করিমগঞ্জের চামড়াবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৯ কিলোমিটার সড়কের পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কাজ শুরু হলেও এখনো কাজটি শেষ করা হয়নি। এর মাঝে চামড়াবন্দর এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের খুবই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘ ৪ বছরের বেশি সময় আগে রাস্তাটির পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও এখনো কাজ শেষ করা হয়নি। চামড়াবন্দরের ১ কিলোমিটার রাস্তাটি ভাঙ্গাচুরা ও বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় হাওরাঞ্চলের হাজারো মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। রোগী নিয়ে সময়মতো হাসপাতালে যাওয়া যায় না। দ্রুত রাস্তাটি নির্মাণ করা এখন সকলের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে। তারা বলেন, এ সড়কটির জন্য চার জেলার কয়েক হাজার মানুষসহ যানবাহন নিয়ে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এরমধ্যে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং। নেত্রকোনার জেলার কালিয়াজুরি। সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা, দিরাই, শেমারচর ও কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইনের মানুষজন এখান দিয়ে চলাচল করে। এছাড়া হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়াবন্দর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ ধান, কয়লা, পাথর, বালু আনা নেওয়া হয়। এতে প্রায়ই তীব্র যানজটের পাশাপাশি অনেক সময় ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এমনকি বছর কানেক আগে ট্রাক উল্টে গিয়ে একজন চালকও মারা যান। যে কারণে চামড়া বন্দরের প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। না হয় তারা কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের হুঁশিয়ারি দেন। মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য রেনু মিয়া, ব্যবসায়ী আরিয়ান হোসেন, কবির হোসেন, নাজমুল হুদা প্রমুখ। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সড়ক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-চামড়াবন্দর আঞ্চলিক মহাসড়কটির সংস্কার কাজ ১৯-২০ অর্থবছরে শুরু হয়। সড়কটি সাড়ে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩২ ফুট প্রস্থ। আগে সড়কটি ছিল ১৮ ফুট প্রস্থ। সড়কটি সংস্কারের জন্য জমি অধিগ্রহণসহ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে কাজ শুরুর পর কয়েকবার সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে জমি অধিগ্রহণের ভূমি এখনো সম্পূর্ণরূপে বুঝে না পাওয়ায় কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার আশ্বাস দেন তিনি।’