নওগাঁয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে আম

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে আম। বাজারে গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর, নাক ফজলি ও ল্যাংড়া/হাড়িভাঙ্গা আম পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন দামে আম বিক্রি হচ্ছে। আম চাষিরা ভালো দাম পেয়ে খুশি হলেও ভোক্তাদের মাঝে বিরাজ করছে অস্বস্তি। প্রতিদিন জেলার সাপাহার-পোরশা-নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলা থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার আম বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদ পর বেচাকেনার পরিমাণ আরো বাড়বে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আম। দেরিতে আমপাড়া শুরু হলেও ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। এ বছর আবহাওয়াজনিত কারণে গাছে মুকুল আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তেমনি আম পরিপক্ব হতেও বিলম্ব হয়েছে। এতে করে আম বাজারে আসতে অন্তত ১৫-২০ দিন সময় বেশি লেগেছে। বাজারে এখন গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর, নাক ফজলি ও ল্যাংড়া/হাড়িভাঙ্গা আম পাওয়া যাচ্ছে। গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২৪শ’ টাকা, ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর ২৫শ’ থেকে ২৮শ’ টাকা, নাক ফজলি ২২শ’ থেকে ২৪শ’ টাকা এবং ল্যাংড়া/হাড়িভাঙ্গা ২৪শ’ থেকে ২৬শ’ টাকা মণ। চলতি মৌসুমে দাম বেশ চড়া। তবে চাষিরা আমের ভালো দাম পেয়ে খুশি হলেও ভোক্তাদের মাঝে বিরাজ করছে অস্বস্তি। আম কিনতে গিয়ে দাম শোনার পর অনেকে হতভম্ব হয়েছে। গত মঙ্গলবার সাপাহার উপজেলার গোডাউনপাড়া মহল্লার বাবু চৌধুরীর বাগান থেকে ঝোপায় ঝোপায় নামানো হচ্ছে ল্যাংড়া আম। এরপর বাতাসে আঠা শুকানোর জন্য রাখা হচ্ছে ঘাসের ওপর। তারপর ক্যারেটে ভরে বিভিন্ন যানবাহনে করে সাপাহার জিরো পয়েন্টে গড়ে উঠা বৃহৎ আমের আড়তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাপাহার আড়ৎদার সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা বলেন- প্রায় ৩০০ জন সমিতির সদস্য। তবে অল্পসংখ্যক আড়ৎ চালু হয়েছে। বাজারে ৩-৪ জাতের আম আসছে। গত বছরের তুলনায় দামও দ্বিগুন। প্রতিদিন এ বাজার থেকে ৩০-৪০ লাখ টাকার আম বেচাকেনা হচ্ছে। তবে ঈদের পর আম্রপালিসহ অন্যান্য জাতের আম বাজারে আসবে। এতে বাড়বে বেচাকেনা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন- এ বছর জেলায় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান গড়ে উঠেছে। যা থেকে প্রায় ৪ লাখ ৩১ হাজার টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলা বলেন- আম ব্যবসায়িদের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনোভাবে আমচাষি বা কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না বা ওজনে বেশি নেয়া যাবে না। যেহেতু আম পচনশীল পন্য সেহেতু গত মৌসুমে কৃষকদের সিদ্ধান্ত ছিল ৪৫ কেজিতে মণ, তবে ক্যারেটসহ ৪৮ কেজি। কিন্তু কখনও কখনও ব্যবসায়িরা এটাকে ৫০-৫২ কেজিতে নিয়ে যায়। এ মৌসুমে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কৃষকরা যা মেনে নিয়েছেন ৪৫ কেজিতে মণ অথবা কেজি দরে কিনতে হবে।