টুং টাং শব্দ জানান দিচ্ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ফেনী প্রতিনিধি
হাপরের বাতাসে জ্বলছে কয়লা, সেই কয়লায় পুড়ছে লোহা। সেই দগদগে লাল লোহাকে পিটিয়ে তৈরি হচ্ছে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি। এসব কোরবানির জন্য তৈরি করার হাপরের ফোঁসফাঁস শব্দ আর লোহা পেটানোর টুংটুং শব্দে মুখর রয়েছে কামার দোকানগুলো। একই সঙ্গে চলছে পুরাতন দা বঁটি, ছুরিতে শান দেওয়ার কাজ। তবে কয়লাসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দাম বাড়ায় বেশি দাম দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। আর মাত্র দুই দিন পর পালিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আর এই ঈদকে সামনে রেখে ফেনীর বিভিন্ন হাট বাজারের লোহা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করেছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত টুংটুং শব্দে মুখর রয়েছে কামার দোকানগুলো। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলার, ফেনী সদর, পশুরাম, ফুলগাজী, দাগনভূঞা উপজেলার আওতাধীন দাগনভূঞা পৌর শহর, বেকের বাজার, সিলোনিয়া, রাজাপুর, দুধমুখা বাজার, ফাজিলের ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানীয় হাট বাজারে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার দোকানের কর্মচারী। কাজের চাপ থাকায় বেশি লোক নিতে হচ্ছে তাদের। কয়েকজন কামারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি-১৫০-২০০ টাকা, বঁটি-৫০০-৮০০ টাকা ও চাপাতি- ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লোহার কেজির উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়। পুরাতন ছুরি, বঁটি ও চাপাতি শান দেওয়া গড়ে ১০০-১৫০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বেকের বাজারের সুজন কর্মকার বলেন, সারা বছর, তেমন কাজ থাকে না। কোরবানির ঈদ আসলে আমাদের একটু কাজ বাড়ে। ঈদ চলে গেলে আমাদের কাজ কমে যায়। তবে নতুন লোক নিয়োগ ও কয়লার দাম বেশি থাকায় আগের থেকে বেশি দাম নিতে হচ্ছে। রণজিৎ কামার বলেন, ঈদকে সামনে রেখে কাজের চাপ বেশি। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের বিক্রি ততই বাড়ছে।