তিতাসে হাঁড়িতে মিলল নবজাতক
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার তিতাসে ফসলি জমির মধ্যে মাটির হাঁড়িতে থাকা এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামসংলগ্ন ফসলি জমি থেকে তাকে উদ্ধার করে কৃষক মো. ইউসুফ মিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতকটিকে ঢাকার মাতুয়াইলের শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে কৃষক মো. ইউসুফ মিয়া গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় তার ফসলি জমিতে আগাছা পরিষ্কারের জন্য যাওয়ার পথে পাশের একটি জমিতে মাটির হাঁড়ি দেখতে পান। আশপাশে দুটি কুকুর থাকায় তার সন্দেহ হয়। তিনি হাঁড়ির মধ্যে নবজাতকটি দেখেন এবং তাৎক্ষণিক তার চাচাকে বিষয়টি জানান। পরে ইউসুফ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা দুপুর পর্যন্ত নবজাতকটি দেখতে ইউসুফের বাড়িতে ভিড় জমায়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুরে নবজাতকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। দুপুর ২টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবজাতকটি দেখতে হাসপাতাল যান এবং শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিন হাজার টাকা অনুদান দেন। ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল আহমেদ জানান, বিষয়টি জানার পর আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছি। রতনপুর গ্রামের কৃষক মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, হাঁড়ির মধ্যে শিশুটি দেখে প্রথমে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে দেখলাম শিশুটি নড়াচড়া করছে। পাতলা একটি কাপড়ের টুকরোর মধ্যে শিশুটি ছিল। প্রশাসন আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি আমার তিনটি সন্তানের পাশাপাশি শিশুটিকেও লালন-পালন করব। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান জানান, নবজাতকটি কন্যাশিশু। তার ওজন এক কেজি ৯০০ গ্রাম। বিশেষ করে জন্মের পর থেকে নবজাতকটি মায়ের বুকের দুধ পাচ্ছে না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতকটি মাতুয়াইল শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসান জানান, উদ্ধার হওয়া নবজাতকটি প্রশাসনের আওতায় আছে। তবে যেহেতু কৃষক ইউসুফ তার দেখাশোনা করতে ইচ্ছুক হয়েছে, তাই তার হেফাজতে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নবজাতকটি ঢাকার মাতুয়াইল শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।