মাদারীপুরের শিবচরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং প্রকল্পের বালু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজেদের জমির উপর বালু রাখা হয়েছে এমন অজুহাত দেখিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভেকু দিয়ে ওই জমির উপর থেকে বালু তোলে বিক্রি করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নদী খনন প্রকল্পে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের পশ্চিমপাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খনন প্রকল্পের বালু তুলে নদীর পাড়ে রাখা হয়েছে। ওই বালু জেলা প্রশাসন থেকে ইজারার মাধ্যমে মো. ওয়াসিম মাতুব্বর নামের এক ব্যক্তি নামে বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে নদী থেকে উত্তলোনকৃত বালু জামাল নামের এক ব্যক্তির জমিতেও গড়িয়ে পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ফসলি জমিতে বালু থাকলে উক্ত ব্যক্তি জমির ফসলের ক্ষতিপূরণের আর্থিক টাকা পাবেন। এদিকে ইজারাকৃত ব্যক্তি ওই জমির খাজনার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বেশ কিছুদিন ধরে দিনরাত জমিতে থাকা বালু কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি। একই সাথে নদীর পাড়ের মাটিও অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করছে। এতে করে নদী ভাঙনের হুমকিও তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগও দিয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খননের বালু নদীর পাড়েই জায়গা করে রাখা হয়েছে। বালুর ওই বেড থেকে প্রচুর পরিমানে বালু পাশের জমিতেও গড়িয়ে পরেছে। ওই জমির বিপুল পরিমাণ বালু ভেকু দিয়ে উঠিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন জমির মালিক। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ফুট বালু বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইজারা প্রাপ্তরা। অভিযুক্ত জামাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এটা তো আমাদের কাগজের জমি। যেহেতু তারা অভিযোগ দিয়েছে তাই আমি আমার মামাদের সাথে আলাপ করে বিষয়টি দেখব। তাছাড়া আমরা কোনো সংঘাত চাই না।
এ বিষয়ে বালুর ইজারাদার ওয়াসিম মাতুব্বর বলেন, আমি একজন ইজারাদার হিসেবে আমার সরকারি টেন্ডারে পাওয়া বালুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়সহ থানা পুলিশের নিকট আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ দিয়েছি। তারা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন বলে আমি আশা করি। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিলখী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।