নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে আসা ১২০০ কেজি ওজনের লালু মস্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাট কাঁপাচ্ছে। গরুটি ওজনের দিক দিয়ে বেশি ও আকৃতির দিক দিয়ে বেশ বড়। যার কারণে বাজারে আসা সাধারণ মানুষের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে গরুটিকে ঘিরে। লালু মস্তান এর মালিক মো: রোকন মিয়া জানান, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বাঁশহাটি গ্রাম থেকে তিনি গরুটিকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাটে এসেছেন। গরুটি সম্পর্কে তিনি জানান, দুই বছর বয়সে এক কৃষকের কাছ থেকে দেড়লাখ টাকা দাম দিয়ে তিনি গরুটি ক্রয় করেছেন। পরে ২ বছর ধরে খামারে লালন পালন করেছেন। তিনি গরুটিকে খৈল ভুষি কাঁচা ঘাস এবং ভুট্টা বুটের ছোলা সহ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েছেন। গরুটির দাম হাকাচ্ছেন তিনি ১৫ লাখ টাকা। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে গরুটির দাম সাড়ে ৯ লাখ টাকা উঠেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে সাড়ে ১০ থেকে ১১ লাখ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করে দেবেন। তার আশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে তিনি ভালো দাম পাবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় ভাদুঘর বাসটার্মিনালের হাটটিতে সকাল থেকে ক্রেতা সাধারণের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড় আরো বাড়তে থাকে। কোরবানির এই পশুর হাটে গরু অসুস্থ হয়ে গেলে ভেটেনারি সার্জনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে জাল নোট শনাক্তকরণের জন্য আলাদা বুথ রয়েছে। হাটের ব্যবস্থা সম্পর্কে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দূস জানান, ক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারেন, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হাট চলবে।