ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে ধরা হচ্ছে মাছ

আক্রান্ত হচ্ছে পাখি
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে ধরা হচ্ছে মাছ

সুন্দরবনে ৩ মাস প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও অভয়ারণ্যে রয়েছে শত শত জেলে নৌকা। বিষ দিয়ে ধরা হচ্ছে মাছ, আক্রান্ত হচ্ছে পাখি। বন কর্মকর্তারা গুনছে টাকা। বর্তমানে ৩ মাস সুন্দর বনে সকল প্রকার জেলে ও জলযান প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা রয়েছে। মৎস্যজাত প্রাণীর প্রজননের জন্য সরকারিভাবে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সুন্দরবনে। অথচ দোবেকী, হলদেবুনিয়া, পুষ্পকাটি, ইলশিমারী, আঠারবেকী, আগুনজালা, জলঘাটা, তালতলী, পাকড়াতলী, মান্দারবাড়ীয়া, আঙ্গরাকোনা, মেঘনা, বালিঝাকি, তবলাকাটা এলাকার খাল গুলোতে অবাধে মাছ ধরছে জেলেরা। সংশ্লিষ্ট বনফাঁড়ি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কিছু অসাধু জেলেরা বেশি মাছ পাওয়ার আসায় অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ধরছে বিষপ্রয়োগ করে। বিষপ্রয়োগে মৃত ছোট মাছগুলো ফেলে দেওয়া হচ্ছে, সেই মাছ খেয়ে সুন্দরবরে পাখি মারা যাচ্ছে। এক সময় গোটা সুন্দরবন পাখির কলকালিতে মুখরিত ছিল সুন্দরবন। এখন আর তা দেখা বা শোনা যাচ্ছে না। বিষকৃত মাছ খেয়ে সুন্দরবনের ৮০ ভাগ পাখির মৃত্য হয়েছে বলে সুন্দরবন পেশায় নিয়জিতরা জানিয়েছে। ওই সব মাছ সোনার মোড়রে আল্লাহর দান ফিস, মদিনা ফিস, বাক্কার ফিস, খান ফিসসহ বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করছে। বিষের মধ্য রয়েছে থায়াডিন, রোটানল পাউডার, রিপকর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া পাটাজাল, বেইনজাল, বেড়জাল, বড়শি দিয়েও মাছ ধরা হচ্ছে। সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ধরা হচ্ছে। মাছের প্রজননের জন্য অভয়ারণ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও পুস্ফকাটি, লতাবেড়ী, দোবেকী, হলদেবুনিয়াসহ বিভিন্ন বন ফাঁড়ির সঙ্গে যোগসাজসে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ধরা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় সহকারী বন সংরক্ষক নিজে অভিযানে যেয়ে অভয়ারণ্যে থেকে মাছ ও মাছধরার সরঞ্জামসহ আটক করে আইনে সোপর্দ করছে। আইনের মারপ্যাঁচে জামিন পেয়ে আবার তারা সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে যেয়ে মাছ ধরতে দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হয় সুন্দরবন পশ্চিম সহকারী বন সংরক্ষক এমকেএম ইকবাল হোচাইন চৌধুরীর সঙ্গে তিনি বলেন, অভয়ারণ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। কেউ প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত