নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জমি দখলে বাধা দেয়ায় নারীসহ আটজনকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামের আজাদ নগরের শেখ ফরিদের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে উপজেলার চর বৈশাখী গ্রামের তাদের প্রতিবেশী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন ও বেলাল হোসেনেরে ছেলে সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্যাহ ফারুক তাদের চাষাবাদের জমি ও ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন অভিযোগ করে জানান, গত বুধবার সকাল থেকে মোশরফ, বেলাল ও আব্দুল্যাহ ফারুকের নেতৃত্বে তাদের আত্মীয়-স্বজন ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন। ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের না হলে সন্ত্রাসীরা চলে যান। দুপুরে শেখ ফরিদের ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান বাজারে আসার পথে উৎপেতে থাকা মোশারফ, মাকসুদকে এলোপাতাড়ি তাকে কুপিয়ে স্থানীয় আজাদ নগরের পাশে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, খবর পেয়ে তার মা মুনরুননেছা আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাস্তায় শুয়ে রাখে। ওই সময় শেখ ফরিদ, আলা উদ্দিন ও তাদের পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করতে গেলে একই গ্রামের মোশারফ, বেলাল বেপারী, আব্দুল্যাহ ফারুক, আমির হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, নুর হোসেন ও বিদ্যুৎসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সবাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে ৯৯৯-এ কল করলে চরজব্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল প্রেরণ করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মোশারেফ হোসেনের ভাতিজা আব্দুল্যাহ ফারুক বলেন, খেতের কাচ কাটা নিয়ে দুই পক্ষে মধ্যে মারামারি হয়। তবে ওই সময় ঘটনাস্থলে আমিও আমার বাবা ছিলাম না। দুই পক্ষেরই লোকজন আহত হয়। আমাদের ৩-৪ জন লোক আহত হয়। চরজব্বর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এখনো কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।