ভূরুঙ্গামারীতে তলিয়ে গেছে দুধকুমার নদের সংরক্ষণ বাঁধ

ভাঙন আতঙ্কে নদীপারের মানুষ

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রবিউল আলম লিটন, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)

ভূরুঙ্গামারীতে তলিয়ে গেছে দুধকুমার নদের তীর সংরক্ষণ বাঁধ। ভাঙন আতঙ্কে ইসলামপুর ও নলেয়া গ্রামের তীরবর্তী জনসাধারণ। জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলাধীন ইসলামপুর ও নলেয়া এলাকায় দুধকুমার নদের ডান তীর বরাবর ৫০০ মিটার করে পাঁচটি প্যাকেজে প্রায় ৫২ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬৫ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মিটার তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নেয়। এর মধ্যে টেন্ডার আইডি নং-৭০৪৪২৮, প্যাকেজ নং কুড়ি/দুধকুমার/ড/১৪ (৫০০ মিটার) প্রকল্পে ঠিকাদার নদের তীরঘেঁষে প্রায় ১৫ ফুট ফসলি জমির মাটি কেটে তা সরিয়ে ফেলে তীরের প্রায় ৭ ফুট নিচ থেকে কংক্রিটের বোল্ডার ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করে। এর ফলে বর্ষার শুরুতেই নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধটি তলিয়ে গেছে এবং তীর এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এখন তীর থেকে প্রায় ২০ ফুট দূরে নদের পানিতে তলিয়ে রয়েছে বাঁধটি। ইসলামপুর গ্রামের রুবেল মিয়া (২৮) মেহেদী হাসান (২৫)ও নজরুল ইসলাম (৪৫) জানান, তীরের প্রায় ৭ ফুট নিচ থেকে কাজ শুরু করায় বাঁধ কোনো কাজে আসছে না। উল্টো বাঁধ তলিয়ে গিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিআই-পিভিএল-জেডআই জেভি, মগবাজার, ঢাকা এর সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের কাজ আরম্ভের তারিখ ১৪ জুলাই এবং সমাপ্তির তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১১, ১২, ১৩ ও ১৫ নং প্যাকেজের কাজ অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। শুধু তাই নয়, ১৩নং প্যাকেজের ঠিকাদার কাজটি অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেয়ায় ওই প্রকল্পের কাজটি এখনো শুরুই হয়নি।

১৫ নং প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রুপান্তর কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী শামসুল হক জানান, এ প্রকল্পটির প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ তিনি সম্পন্ন করেছেন। বর্ষার পর অবশিষ্ট কাজ শুরু করবেন এবং অর্থ সংকটের কারণে কাজ বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি জানান। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, ডিজাইন অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণের কথা। তারপরও বাঁধ নির্মাণে কোনো ত্রুটি হয়েছে কি না, আমি সরেজমিন দেখব। অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সমস্যার কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।