নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে কুমড়ার জমিতে আবারো ধরা পড়েছে রাসেলস ভাইপার সাপের তিনটি বাচ্চা। এতে করে পুরো জেলাজুড়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নওসাড়ার চরে কুমড়ার জমিতে এ বিষধর সাপের দেখা মিলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে পদ্মার চরে ঘাস কাটতে যান উপজেলার মহড়কয়া কয়লার ডহর গ্রামের বাসিন্দা কাজল। কুমড়ার জমিতে ঘাস কাটার সময় তিনটি রাসেলস ভাইপার সাপের বাচ্চা দেখতে পান তিনি। পরে স্থানীয় কৃষকরা মিলে একটি সাপের বাচ্চাকে কুপিয়ে মেরে ফেলেন এবং দুইটি জীবিত রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চাকে কৌটাবন্দি করে এলাকাবাসীদের দেখানোর জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন ওই যুবক। এ সময় সাপের বাচ্চা দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করে স্থানীয়রা। বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিক আলী মিষ্টু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শনিবার পদ্মার চরে চারটি সাপ কৃষকরা দেখতে পেয়ে মেরে ফেলে। আজকে সকালে চরে আবারও তিনটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা দেখা মিলে। এক যুবক দুইটা সাপ কৌটা করে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। ওই যুবকের কাছ থেকে সাপ দুইটি উদ্ধার করা হবে। যেহেতু এ সাপ অনেক বিষধর, তাই সাপ দুইটি দ্রুত মেরে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কেএম শাহাবুদ্দিন বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রুপ পদ্মা তীরবর্তী এলাকায়। সেজন্য আমাদের হাসপাতালে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে আসলেই ডাক্তার ও নার্সরা দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম রয়েছে। আমাদের আগে থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।