জিওব্যাগ ফেলেও থামানো যাচ্ছে না নদীভাঙন
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর পারে জিওব্যাগ ফেলার পরেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন। প্রতিবছর নদীভাঙন রক্ষায় নেয়া কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না। উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার ঘাট এলাকায় নতুন করে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, বড়মাছুয়া স্টিমার ঘাট এলাকায় ৫০০ মিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ ব্লক দ্বারা স্থায়ীকরণ করার জন্য খরচ হচ্ছে ৪৭ কোটি টাকা যা পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা আছে। বর্তমানে ৩০০ থেকে ৫০০ মিটার জায়গাজুড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে যাতে টেকসই থাকে। জিওব্যাগ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে আনুমানিক ৮৫ লাখ টাকা। নদীভাঙনে ভুক্তভোগীরা জানান, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দেয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধগুলো ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই এলাকায় এর আগে কয়েকবার জিওব্যাগ ফেলে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া এলাকার জেলে ইব্রাহীম জানান, এই এলাকাটা অনেক বড় ছিল। কয়েক বছর নদীভাঙনে বেশ কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যার আগে বেড়িবাঁধগুলো পুনর্নির্মাণ করতে হবে। মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ জিওব্যাগ ফেলে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। ব্লকের প্রজেক্ট দেয়া আছে বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।