গাইবান্ধা জেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি কমেছে। একই সময়ে করতোয়ার পানি বেড়েছে ৩৬ সেন্টিমিটার। তবে সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীতে পানি কমলেও সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ভাঙন শুরু হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে একই সময়ে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গত শনিবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি বৃদ্ধি ও হ্রাস পেয়েছে। এদিকে একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের পানি ১৪৪ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি ২৫ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ার পানি ১১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মোবাইলফোনে বলেন, কোনো নদীর পানি বৃদ্ধি আবার কোনো নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। তবে নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষত পানি কমার কারণে নদীতীরবর্তী গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিয়েছে।