উচ্চ ফলনশীল বীজ রোপণ করে কম সময়ে অধিক ফলন লাভ ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে কম পরিশ্রমে দেশ ও কৃষক লাভবান হবেন বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা ও খরিপ-২ মৌসুমে উফশী জাতের ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠান সংবাদ কর্মীদের এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন- সরকার কৃষিতে যান্ত্রীকিকরণের পদক্ষেপ নেওয়ায় ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। এখন স্বল্প সময়ে সীমিত জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে কৃষক। নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল জাতের সাথে কৃষককে পরিচিত করা হচ্ছে। কৃষকও সাদরে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল গ্রহণ করছে। ধান উৎপাদন ও ভোগে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও তৃতীয় স্থানে আমরা। সরকারের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা কৃষকের বন্ধু। কৃষি প্রণোদনা দিয়ে, ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন তিনি। সমবায়ভিত্তিতে চাষাবাদ হলে কৃষির জমি বাড়বে, উৎপাদনও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে মডেল হিসেবে অনেক স্থানে সমবায়ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে। এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন। নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন। তিন দিনব্যাপী মেলায় ২০টি স্টলে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রজাতির বিভিন্ন ফসল প্রদর্শন এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলজ ও বনজ চারা বিক্রি হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ১ হাজার ২৫০ জন কৃষকের মাঝে উফশী জাতের ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।