চাঁদপুরে হত্যাকাণ্ড
বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও শহরের বিভিন্ন সড়ক বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এরপর মামলার আসামি চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝিকে পদ থেকে বাদ দিতে মেয়র মো. জিল্লুর রহমানের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন নিহতের স্বজনরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি একজন সন্ত্রাসী ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারী দখলদার ব্যক্তি। সম্প্রতি চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ছেলে মো. রাকিব মাঝি চেয়ারমান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তিনি ও তার বাহিনী ভোটের আগে-পরে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখান। নির্বাচনে তার ছেলে পরাজিত হয়ে আল আমিন খানকে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সন্ত্রাসী দলবল দিয়ে আক্রমণ করে গুলি করে হত্যা করে। সে ও তার দুই ছেলে সজিব মাঝি ও রাকিব মাঝিসহ তাদের লোকজন ক্ষমতার অপব্যবহার কয়ে অত্যাচার-নির্যাতনের মাধ্যমে এলাকার লোকজনকে দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ ও জিম্মি করে তুলেছেন। তাদের গ্রেফতাকে করে সরকারের কাছে শাস্তি দাবি করেন বক্তারা। আল আমিনের বাবা আব্দুল মজিব খান ডেঙ্গু বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি চানাচুরের ব্যবসা করে কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়। তার নামে চাঁদপুরে ও ঢাকায় ৫-৭টি বাড়ি আছে। অবৈধ উপার্জন করে সে ও তার দুই ছেলে সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টি করেছে। মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পৌরসভার নির্বাচন করে কাউন্সিলর হয়েছে। টাকা দিয়ে হয়েছেন প্যানেল মেয়র। তারা ক্ষমতা পেয়ে এখন মানুষকে গুলি করে মারছে। আমার ছেলের বিচার না হলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা। আরও বক্তব্য দেন, নিহত আল আমিনের চাচা আব্দুল খালেক খান, তার বড় ভাই সোহাগ খান, চাচাতো বোন বিলকিস বেগম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ হাওলাদারসহ এলাকাবাসী। গত ১১ জুন রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শহরের পুরাণ বাজার পলাশের মোড় মেরকাটিজ রোড ও নিতাইগঞ্জ রোডের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আল-আমিন খান (৩০) নামে অটোরিকশা চারক নিহত হয়। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৭৮ জনকে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ আসামি। আসামি মোহাম্মদ আলী মাজিসহ তার ছেলেরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।