বন্যার পানি কমলেও কমেনি জনজীবনের দুর্ভোগ

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে, পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, কমেনি জনজীবনের দুর্ভোগ। আবার টানা বৃষ্টি হলে ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধির শঙ্কায় আছেন বন্যার্ত মানুষ। ফলে বন্যার পানি ধীরগতিতে কমলেও কমছে না বানভাসি মানুষের বিড়ম্বনা। এখনো বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে আছে। হাকালুকি হাওর পাড়ের গ্রামগুলোতে এখনও পানি আছে। তবে, বন্যার্তদের মধ্যে কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। আবার অনেকেই নিজের গবাদিপশু নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করছেন। এখন ওইসব এলাকার বানভাসি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ২০৯ সে. মি. থেকে কমে এখন বিপৎসীমার ১৮০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাদের কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছেন। তবে ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশেই বানভাসিরা শুকনো খাবার ছাড়া কিছুই পাননি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা আছে। গত সোমবার জুড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কমেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জুড়ীতে ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৩৭৩টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। এরইমধ্যে বন্যার্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ২০৯ সে. মি. থেকে কমে এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার ১৮০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলার শহর-গ্রামগঞ্জের ও সীমান্তবর্তী এলাকা এবং হাওর পাড়ের বন্যার পানি কিছুটা কমেছে, পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।