১০ গ্রামের মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো

নীলফামারী

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী

নীলফামারী সদরের ১০ গ্রামের প্রায় চল্লিশ হাজার পথচারীদের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের বসুনিয়ার ডাঙ্গার দেওনাই নদীর উপরে বাঁশের সাঁকোটি ব্রিজে রূপান্তরিত হলে পাল্টে যেতে পারে এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা। সরেজমিন দেখা গেছে, সাঁকো দিয়ে পার হয়ে প্রতিদিন নীলফামারী শহরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। বাঁশদাহ, লক্ষ্মীচাপ, শিমুলবাড়ী, ধর্মপাল দুবাছুরি, দাঁড়িহারা, বালার পোকর, খেরকাটি, শেওটগাড়ী, অচীনতলা গ্রামের প্রায় চল্লিশ হাজারের অধিক মানুষ যুগের পর যুগ থেকে অনেক কষ্ট করে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। সাঁকোর রাস্তাটি লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন থেকে জেলার বিভিন্ন বড় বড় সড়কের সাথে সংযোগ হয়েছে। সাঁকো ভেঙে মাঝেমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী সাইকেলসহ নদীতে পড়ে যান এবং আহত হন। তার পরেও ওই এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে চলাফেরা করছে। একটি ব্রিজের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও বছরের পর বছর ধরে কোনো কাজ হয়নি। এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর কুমার রায় বলেন, এই বাঁশের সাঁকোটি বর্তমান সময়ে মানুষের মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ হলে প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন হতো। লক্ষ্মীচাপ কাঁচারী বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আমিনুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ১০ গ্রামের বাঁশের সাঁকোটি একমাত্র চলাচলের ভরসা। প্রতিদিন হাজার শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। অনেকে মাঝেমধ্যে সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এই বাঁশের সাঁকোতে দৈনন্দিন চলাচলকারী লক্ষ্মীচাপ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিউটি বলেন, আমরা এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করি। অনেক সময় বাঁশের সাঁকো ভেঙে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। বর্ষার সময় কলার ভেলায় আসতে হয় স্কুলে। অনেক সময় বই খাতা ও কাপড় ভিজে যায়। নীলফামারী সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুজার রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আমি শুনেছি এই সাঁকোটি মানুষের জন্য একটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অনেক মানুষের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শপথগ্রহণ করে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি দেখব। এ বিষয়ে এলজিইডি নিবার্হী প্রকৌশলী ফিরোজ হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অনেক ব্রিজ করেছি এটার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আস্বস্ত করেন।