লক্ষ্মীপুরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন

হুমকিতে ফসলি জমি ও বাড়িঘর

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

বশিকপুরে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পুকুর ভরাট, জমি দখলের চেষ্টা হুমকিতে কৃষিজমি-বাড়ি। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে একের পর এক প্রশাসন বাধা দেওয়ার পরও প্রভাবশালী ওমর ফারুক বালুখেকো বশিকপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন পুকুর, ফসলি জমি থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে আসছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধ হলেও নির্ভয়ে বিরতিহীনভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড পশ্চিম শেরপুর গ্রামের সৈয়দের রহমানের মুন্সি বাড়ির এলাকায় নুরুল আমিন, আবদুল সাত্তারের ফসলি জমির পাশ থেকে জোর করে ফসলি জমি নষ্ট করে দীর্ঘ দিন যাবত ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে জবর দখলবাজ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। সেই বালু দিয়ে প্রায় এক হাজার ফুট দূরের একটি পুকুর ভরাট করে জমি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে ওমর ফারুক গংরা। ওই গ্রামের প্রভাবশালী জবর দখলবাজ ওমর ফারুক, ড্রেজার মেশিন মালিক রাজুসহ ফসলি জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক বালু তুলছেন বলে অভিযোগ করেছেন জমির প্রকৃত মালিকরা। আত্মঘাতী এই ড্রেজার দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ আশপাশের পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা এমনটাই জানিয়েছেন। অপরদিকে ২নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার আবুল কালাম জানিয়েছেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়ে একাধিকবার বলার পরওই বালু উত্তোলন বন্ধ করেনি ফারুকগংরা। এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বরাবর বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ওমর ফারুককে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন নুরুল্যা, আবদুস সাত্তার। অভিযুক্ত জবরদখলবাজ বশিকপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শেরপুর গ্রামের কেফায়েত উল্যার ছেলে ওমর ফারুক। গত সোমবার পশ্চিম শেরপুরে গ্রামে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ দুটি ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি থেকে বালু কাটা হচ্ছে। এর পর নুরুল্যা, আবদুস সাত্তারে ফসলি জমি ধসে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে ও কৃষি জমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দরা। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বালু তোলা বন্ধ এবং মেশিন জব্দ করার জন্য স্থানীয় তসিলদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।