ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বগুড়ায় রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক

বগুড়ায় রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক

বগুড়ার শেরপুরে চলতি বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। এরপর বিলুপ্তপ্রায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের নতুন করে বিচরণ দেখা যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই উপজেলার মানুষ। তাদের দাবি, প্রায় প্রতিদিনই সাপের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু সে অনুযায়ী স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নেই তেমন প্রস্তুতি। এমনকি প্রতিষেধক টিকাণ্ডঅ্যান্টিভেনম রয়েছে একেবারেই অপ্রতুল। নেই ইনজেকশন পুশ পরবর্তী আইসিইউ’র ব্যবস্থা। তাই সাপে কাটা রোগীদের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ছয় মাসে পৌরসভাসহ এই উপজেলার দশটি ইউনিয়নে সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। এরমধ্যে বেশিরভাগ রোগী স্থানীয়ভাবে গ্রাম্যভাবে কবিরাজী চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে গুরুতর নয়জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে সুমাইয়া খাতুন নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত ৩০ মার্চ রাতে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খাগা গ্রামে ওই সাপে কাটার ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমাইয়া খাতুন ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অনার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। নিহতের স্বজনরা জানান, সুমাইয়া খাতুন বাড়ির পাশের গোয়াল ঘরে মুরগির খাবার দিতে যায়। তখন তাকে একটি বিষধর সাপ কামড় দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব একটু বৃদ্ধি পায়। এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ আমাদের এখানকার বেশিরভাগ সাপের কোনো বিষ নেই। কথিত কবিরাজ (ওঝা) কালু মিয়া ও রমজান আলী বলেন, প্রায় দিনই তাদের বাড়িতে সাপে কাটা রোগী আসছেন। সাধ্যানুযায়ী তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। আধুনিক চিকিৎসা ছাড়া ঝাড়-ফুকের ভিত্তি নেই, তারপরও সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই দুই কবিরাজ বলেন, আক্রান্ত ভালো হয়, বলেই তো আমাদের কাছে আসে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত