ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে তীব্র তাপপ্রবাহে ভয়াবহ লোডশেডিং

গ্রাহক অসন্তোষ চরমে
কেশবপুরে তীব্র তাপপ্রবাহে ভয়াবহ লোডশেডিং

যশোরের কেশবপুরে তীব্র তাপদাহে কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কেশবপুর শহরের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, একদিকে তীব্র তাপদহন তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলে ভয়াবহ লোডশেডিং। ব্যবসা পরিচালনা করা দুরুহ হয়ে পড়ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। অথচ বিদ্যুৎ বিলে যেন ভূতের আসর করেছে। অতিরিক্ত বিল উঠছে। কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় প্রায় ৯০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ মেগাওয়াট। ফলে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্য মাত্র ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাছে গ্রাহকরা। আর লোডশেডিং থাকছে প্রায় ১৮ ঘণ্টা। এদিকে ওই ৯০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে কৃষকের বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগ রয়েছে প্রায় ২ হাজর ৩০০টি। কেশবপুর উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় থাকলেও বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং ও গত কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপদাহে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। কেশবপুর উপজেলায় দিন ও রাত ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে বলে গ্রাহকরা জানান। গ্রাহকরা আরো বলেন, এদিকে ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না। অথচ একটু বিল বাকি পড়লেই তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। আবার সংযোগ নিতে গেলে জরিমানার টাকা না দিলে সংযোগ হয় না। গ্রামাঞ্চলের মানুষরা পড়েছে মহাবিপদে। এদিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও নিরবছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারণে এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদেশি গরু ও ব্রয়লার মুরগি হিট স্টোকে মারা যাচ্ছে বলে জানান। তাদের খামারে সব সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করে থাকেন। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে খামারের গরু ও ব্রয়লার মুরগি খামারিরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীনে রয়েছে বলে জানান। এছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এলাকার পুকুর ও মৎস্য ঘরের পানি অতিরিক্ত গরম হয়ে মাছ মরে ভেসে উঠছে। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন মৎস্য ও খামার ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বলছে, ৩৩ কেভি ও নওয়াপাড়ার লাইনে সমস্যা হয়েছে। আবার বলে যশোরের মূল অফিসের সমস্যা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায় চলে আসবে আশা করা যাচ্ছে। কেশবপুর পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম এস শাহীন আহসান বলেন, যশোরের মূল অফিসের সমস্যা হয়েছে। যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ মেগাওয়াড। কেশবপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ-এর এলাকা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রাহকদের তীব্র ক্ষোভসহ বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টস ছড়িয়ে পড়ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত