রাঙামাটির কাপ্তাইের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবছর আম্রপালি আমের প্রচুর ফলন হয়। এসব আমের চাহিদা ও কদর রয়েছে দেশজুড়ে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত এসব আম স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে থাকে। উপজেলা সদরের বড়ইছড়ি, নতুন বাজারসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে আম্রপালি আমের সমারোহ। আম্রপালি আম ছাড়াও রুপালি, রাঙ্গু এবং মল্লিকা জাতের বিভিন্ন ধরনের আম রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বাগান ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাপ্তাইয়ের ঘাগড়া সড়কের আশপাশে গাছে গাছে ঝুলছে আম। গাছ থেকে আম্রপালি সংগ্রহ করে বাজারজাত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। আম্রপালি আমের বাগান রয়েছে, উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা সুজন তঞ্চঙ্গ্যা, যতিন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাসহ অনেক কৃষকের। তারা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও ভালো ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে বাগানগুলো পাইকাররা কিনে নিয়েছেন। এখন চলছে বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া। কাপ্তাই উপজেলা সদরের মৌসুমি ফল বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, আমি উপজেলায় মৌসুমি ফলের ব্যবসা করে সংসার চালাই। মৌসুমি ফলের মধ্যে আম্রপালি বিক্রয় করেই সবচেয়ে বেশি আয় করি। কারণ কাপ্তাইয়ের আম্রপালি সারা দেশে বেশ পরিচিত। বছরের জুন-জুলাই মাসে প্রচুর আম্রপালি কাপ্তাই থেকে জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, এবারও কাপ্তাইয়ে আম্রপালির ফলন ভালো হওয়ায় অনেক আম সংগ্রহ করেছি বিক্রির জন্য। পাইকারি ৫০-৬০ টাকা ধরে কিনলেও এসব আম ৯০-১০০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি করি। তবে কয়েকজন বিক্রেতা জানান, গতবছরের তুলনায় এখানে দাম কম হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গতবছর যেখানে প্রতিকেজি আম্রপালি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এবার একই জাতের দাম ৬০-৭০ টাকা বিক্রয় করছেন। আবার যেসব আমের দাম ৫০ টাকা ছিল এবার তা ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করছে তারা। অত্যন্ত সু-স্বাদু হওয়ায় আম্রপালির চাহিদা ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি বলে এ ব্যবসায়ীরা। কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান আহমেদ বলেন, গতবছরে তুলনায় এবার কাপ্তাইয়ে আম্রপালির ভালো ফলন হয়েছে।