মুন্সীগঞ্জে ২য় দিনে আরো ৫৩ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর জায়গা দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গতকাল সকালে থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার নযাগাঁও, মুক্তারপুর পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় ৫৩ অবৈধ স্থাপনা। এর আগে গত বুধবার ৫০টি অবৈধ স্থপানা উচ্ছেদ করা হয়। দুই দিনে মোট ১০৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের নেতৃত্বদের বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীকে তার পুরোনো সীমানায় ফেরানোর জন্য এই অভিযান চালানো হয়। দুই দিনব্যাপী এই অভিযানে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী তীরবর্তী মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট থেকে হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় নদীর জায়গা দখল করেছে এমন ১০৩টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়।এসব উচ্ছেদের ২দিনের অভিযানে ৫৩টি প্রথমদিন বুধবার অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া জায়গায় মানুষের চলাচলের জন্য ওয়ার্কওয়ে ও বৃক্ষরোপণ করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে এই অভিযানে বাকি অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হলো। অভিযানে অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মো: মুস্তাফিজুর রহমান, উপ-পরিচালক মো: মোবারক হোসেন মজুমদার, সহকারী পরিচালক এসএম সাজেদুর রহমান সহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেয় ।তাদের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযানে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আবাসিক ভবন, ক্ষুদ্র ও মাঝারী দোকান পাট। এর আগে একটি জ্বালানি তেলের দোকান, চায়ের দোকান, একটি খাবারের হোটেলসহ অন্যগুলো চায়ের টং দোকান উচ্ছেদ করা হয়। ধলেশ্বরী নদীর তীরের ৩ কিলোমিটারজুড়ে এই অভিযান চলে।