দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার স্টাফ কোয়াটারগুলো ৫৫ বছর পূর্বে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলওে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে পুলিশ পরিবারগুলো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এ বিষয়ে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১৮৭টি মৌজার জনগণের আইন-শৃঙ্খলা সহায়তা করার লক্ষ্যে ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে পৌর শহরের সরকারি ৭ একর জমিতে বীরগঞ্জ থানা ভবন ও ৭টি স্টাফ কোয়াটার কাঁচা ইট কাঁদা-মাটি ও চুন শুড়কি দিয়ে নির্মাণ করা হয়।
১৯৭০ সালে জনপথ ও ইমারত বিভাগের প্রকৌশলীরা বাসভবনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বসবাসের অনুপোযোগী মনে করে কোয়াটারগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের আমলেও পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পর ২০০১ সালে থানা ভবন ও সহকারী পুলিশ সুপারের অফিস ও বাসভবন নির্মাণ করা হলেও অদ্যাবধি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কোয়াটার, এসআই কোয়াটার, এএসআই কোয়াটারগুলো নির্মাণ করা হয়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বীরগঞ্জ থানা ক্যাম্পাসের জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত টিন সেড কোয়াটারের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরা ও বাসার ছাদে পলিথিন, ত্রিপাল দিয়ে বৃষ্টির পানি আটকানোর চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বসবাসরত বীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মজিবুর রহমান নিজের ও বিভিন্নজনের সহযোগিতা নিয়ে বসবাসের জন্য একটি টিন সেট বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কোয়াটারে বসবাসরত পুলিশ পরিবারের এক সদস্য বলেন, থানা ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত বাসা গুলিতে সার্বক্ষণিক দুর্ঘটনার আশঙ্কা ও বিষাক্ত পোকাণ্ডমাকড়ের আতঙ্কে পরিবার নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কিছু পুলিশ অফিসার পরিবার নিয়ে বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে। বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মুজিবুর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি মাসে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল বলছে, পুলিশ সার্বক্ষণিক জনগণের নিরাপত্তা দিলেও বসবাসের ক্ষেত্রে তারা নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই, আগে অনেক লেখালেখি হয়েছে, কোনো সুফল হয়নি। তাই লিখে কি হবে? তারা আশঙ্কা করছে, যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনায় প্রাণহানী হতে পারে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটু সুদৃষ্টিতে দিলে এই সমস্যার সমাধান হবে।