জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের জারিকৃত নতুন আদেশ না মেনে বেনাপোল কাস্টম হাউস তার নিজস্ব আইনে অতিরিক্ত শুল্ক করাদি আদায়সহ জরিমানা করার কারণে বেনাপোল বন্দরে পচনশীল পণ্য জাতীয় পণ্য মাছ, ফল ও সবজিসহ প্রায় ১০ ট্রাকের বেশি পচনশীল পণ্য নিয়ে ৩ দিন ধরে আটকা পড়েছে বেনাপোলবন্দর এলাকায়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাঁচামাল আমদানিকারকরা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন।
পচনশীল পণ্য আমদানিকারকরা জানান, রাজস্ব বোর্ডের জারিকৃত নতুন আইন করেছে ট্রাকের চাকা অনুযায়ী টাক্স দিতে হবে। এই আইনটা করা হয়েছে হিমায়িত মাছের উপরে ৬ চাকা গাড়িতে পণ্য আনতে হবে ১৫ টন। রাজস্ব বোর্ডের এই নিদের্শনা বাস্তাবায়ন করা কখনো সম্ভব না কারণ একটি গাড়ি ১৫ টন পণ্যের ওজনসহ গ্রোস ওজন ২২ টন। ট্রাকের ওজন হবে ১৫ টন হলে সর্বমোট ওজন হবে ৩৭ টন ৩ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ৬ চাকার গাড়ি আসতে পারে না। এটা একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। তবে স্লাভ অনুযায়ী পণ্য কম থাকলেও স্লাভ অনুযাযী যে ট্রাকে যে পণ্য থাকার কথা সে পরিমাণ পণ্যের ডিউটি দিতে হবে। নির্ধারিত ওজনের চেয়ে পণ্য বেশি থাকলে জরিমানা দিতে হবে আবার স্লাভ অনুযায়ী ওই ট্রাকে যে পরিমাণ মাল থাকার কথা তার চেয়ে কম থাকলেও অতিরিক্ত ডিউটি দিতে হবে। এদেশে দুই ধরনের নিয়ম।
রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত হিমায়িত মাছের স্লাভ হলো ৬ চাকা ১৫ টন, ১০ চাকা ১৮ টন, ১৪ চাকা ২১ টন, ১৬ চাকা ২২ টন ১৮ চাকা ২৩ টন ২০ চাকা ২৪ টন.২২ চাকা ২৫ টন, কাঁচা ফলের স্লাভ হলো ৬ চাকা ১৮ টন, ১০ চাকা ২০ টন, ১৪ চাকা ২৫ টন এবং ১৬ চাকার ২৬ মেঃ টন পণ্য ধরে শুল্কায়ন করতে হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, রাজস্ব বোড থেকে পচনশীল পণ্যে যে ওজন নির্ধারন করে দিয়েছেন সেটা অসামস্য ও আইনসম্মত নয়। এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, গত ২৬ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে পচনশীল পণ্য শুল্কায়নের জন্য আমরা একটি নির্দেশনা পেয়েছি। নির্দেশনায় ট্রাকের চাকাভিত্তিক ওজনের কথা বলা আছে। সে নির্দেশনায় তখন থেকেই আমরা এটি বাস্তবায়ন করছি। অর্থাৎ ফল বা মাছের যে গাড়িগুলো আসবে, সেখানে যে চাকার কথা বলা আছে, কত চাকায় কত টন ফল বা মাছ আসবে সে অনুযায়ী পণ্য খালাশ দেয়ার নির্দেশনা আছে। সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি। এ নির্দেশনার বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনো সুয়োগ নেই।