ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টাঙ্গাইলে স্বামীর হাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খুন

টাঙ্গাইলে স্বামীর হাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খুন

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জেমি আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর গতকাল সকালে স্বামী মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। মনির সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে। গত শনিবার সন্ধা ৬টায় উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেমি উপজেলার দিগর ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। সোহান নামে তাদের একজন পুত্রসন্তানও রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মনির পেশায় একজন শ্রমিক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই পারিবারিককলহ লেগে থাকত। শনিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূ রান্না করতে ছিল। এ সময় ছেলে সোহান কান্নাকাটি করলে স্বামী মনির হোসেন স্ত্রীর ওপর উত্তেজিত হয়ে ঘরে নিয়ে তলপেটে লাথি, কিল ঘুষি মারে ও গলায় চেপে ধরে। প্রচণ্ড আঘাতে গৃহবধূ জেমি আক্তার প্রস্রাব ও মলত্যাগ করে দেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রথমে জেমিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থায় অবনতি হওয়ায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে গৃহবধূ জেমি মারা যায়।

নিহত জেমির বড় বোন নাছিমা বলেন, গত ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে মনিরের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। এখন সে চার মাসের গর্ভবতী। বিয়ের পর থেকেই তার বোনকে নির্যাতন করত। জেমিকে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করত মনির। তার বোনের হত্যার দৃষ্টান্তম্লূক বিচার চান তিনি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বিষয়টা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর এলাকাবাসী ঘাতক মনিরকে নিজ বাড়িতেই বেধে রাখে। পরে থানায় খবর দিয়ে মনিরকে পুলিশ হেফাজতে দেওয় হয়েছে। ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, অভিযুক্ত স্বামী মনিরকে গ্রেপ্তারের করা হয়েছে। মনিরের মাকেও পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত