দেনার চাপে এনজিও কর্মীর আত্মহত্যা
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পিরোজপুর প্রতিনিধি
স্বরূপকাঠিতে বিধান মিস্ত্রি নামে এক এনজিও কর্মীর গলায় গামছা পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকালে তার বাড়ির বাগানের একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। সোনালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির মালিক বিধান চন্দ্র মিস্ত্রি দেনা পাওনার চাপে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন। বিধান মিস্ত্রি মাদ্রা গ্রামের সতিন্দ্র মিস্ত্রির পুত্র। পুলিশ বিধানের লাশ উদ্ধার করে গতকাল ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠিয়েছে।
মাদ্রা গ্রামের ইউপি সদস্য সদানন্দ মন্ডল জানান, তার এলাকার বিধান মিস্ত্রি আরামকাঠি সঞ্চয় সমিতিতে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করা অবস্থায় নিজে একটি সমিতি গড়ে সুদের কারবার করছিলেন। সদানন্দ বলেন, পরে তার কর্মস্থলের মালিক আরামকাঠি সমিতির রহমত মিয়ার সাথে লেনদেন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং বিধানকে কিছু দিন আগে আটকে রেখে অপদস্ত করায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে বিধানের সমিতিতে সদস্যদের জমা করা সঞ্চয়ের পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার চাপে হয়তো আত্মহত্যা করতে পারে। আরামকাঠি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির মালিক রহমত উল্লাহ বলেন, বিধান মিস্ত্রি আমার এনজিওতে সাত আট বছর ধরে চাকরি করেন। পাশাপাশি নিজেও একটি সমবায় সমিতি চালাতেন। তার সাথে আমার ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার একটি লেনদেন রয়েছে। এছাড়া কোনো ঝামেলা নেই।